প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- ব্যবসায়ীরা যে দলেরই হোক না কেন ব্যবসাটা যেন ব্যবসায়ী হিসেবেই করতে পারেন, সেই পরিবেশটা তার সরকার সৃষ্টি করে দিয়েছে দেশে। সেটা মাথায় রেখে ব্যবসায়ীদেরকে দেশ ও মানুষের কথা ভাবতে বলেছেন তিনি। বুধবার (২৬ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ভোগ্যপণ্য আমদানিকারক ও রফতানিকারকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ আহবান জানান।
বিএনপি-জামায়াত সরকারের শাসনামলে ‘কমিশন’ প্রদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এখন কোনও হাওয়া ভবন নেই, পিএমওতে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে) কোনও উন্নয়ন উইংও নেই। হাওয়া ভবনে একভাগ, উন্নয়ন ভবনে একভাগ বা অমুক জায়গায় দিতে হবে— এ যন্ত্রণায় আপনাদের ভুগতে হয় না এখন। সেই যন্ত্রণা থেকে সবাই মুক্ত আছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকারের একটানা ১৪ বছর ধারাবাহিকভাবে লাভজনক ব্যবসা করে গেছেন ব্যবসায়ী। করোনার সময় কেউ সরকারের কাছে দাবি না জানালেও সরকার ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা, বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছে। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে ইন্ডাস্ট্রি, তাদের সব কর্মকাণ্ড বন্ধ করলেও সরকার দেশে এসব বন্ধ হতে দেয়নি। চালু রাখতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন, প্রণোদনা প্যাকেজ, বিশেষ বরাদ্দ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
এ সময় গণভবনে অন্যান্যের মধ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, টি কে গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, সিটি চিনিকলের উপদেষ্টা অমিতাভ চক্রবর্তী, সিটি এডিবল অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা, এস আলম গ্রুপের সিনিয়র ম্যানেজার কাজী সালাউদ্দিন আহমেদ, দেশবন্ধু গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম রহমান, মেঘনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামাল, এসিআই লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আরিফ দৌলা এবং আকিজ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ জসীম উদ্দিন মতবিনিময়ে অংশ নেন।
এমকে