খাদ্য-জ্বালানি সংকট আরও গভীর হওয়ার আশংকা

২৭ অক্টোবর ২০২২

বেশিরভাগ উন্নয়নশীল দেশের সংকুচিত মুদ্রার মান বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও জ্বালানি সংকটকে আরও গভীর করতে পারে। খাদ্য ও জ্বালানির দামকে সংকুচিত মুদ্রার মান এমনভাবে বাড়িয়ে দিচ্ছে, যা ইতোমধ্যেই অনেক দেশ এ সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে। জ্বালানি পণ্যের উচ্চমূল্য কৃষি উৎপাদনে প্রভাব ফেলে খাদ্যের দাম বাড়িয়েছে। যদিও  বিশ্ব মন্দার উদ্বেগের মধ্যেও বেশিরভাগ পণ্যের দাম সাম্প্রতিক কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। এ কথা বলছে বিশ্ব ব্যাংক। সংস্থাটির সর্বশেষ কমোডিটি মার্কেটস আউটলুক থেকে বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) এ আশংকার কথা জানায়।

পণ্যের দাম হ্রাস প্রসঙ্গে সংস্থাটি জানায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ থেকে গত মাসের শেষ পর্যন্ত মার্কিন ডলারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমেছে, প্রায় ৬ শতাংশ। যদিও মুদ্রার অবমূল্যায়নের কারণে ৬০ শতাংশ তেল আমদানিকারী বাজার এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এ সময়ে দেশীয় মুদ্রায় তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সংস্থাটি বলছে, ২০২২ সালের প্রথম তিন প্রান্তিকে দক্ষিণ এশিয়ায় খাদ্য মূল্যের মুদ্রাস্ফীতি গড়ে ২০ শতাংশের বেশি ছিল। লাতিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা, সাব-সাহারান আফ্রিকা এবং পূর্ব ইউরোপ ও মধ্য এশিয়াসহ অন্যান্য অঞ্চলে এ স্ফীতি গড়ে ১২ থেকে ১৫ শতাংশের মধ্যে ছিল। বেশিরভাগ দেশেই পণ্যের দাম বাড়লেও বর্তমানে কমেছে। এ কমার হার গত পাঁচ বছরে গড় স্তরের তুলনায় অনেক বেশি। এটা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার চ্যালেঞ্জকে দীর্ঘায়িত করতে পারে।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর