জমিজমা সংক্রান্ত জাল-জালিয়াতি রোধে সাব-রেজিস্ট্রারদের সর্বদা সচেষ্ট থাকতে বলেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। এটাও বলেছেন, জনগণকে কোনও হয়রানি না করে দ্রুততম সময়ে সর্বোত্তম সেবা দিতে হবে। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সাব-রেজিস্ট্রারদের দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ নির্দেশনা দেন।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার আন্তর্জাতিক মানের প্রযুক্তিনির্ভর, আধুনিক, কর্মদক্ষ ও মেধাসম্পন্ন জনশক্তি তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। ফলে দৈনন্দিন কাজকর্ম থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে নাগরিকরা প্রযুক্তির সহায়তায় সেবাগ্রহণে তৎপর হয়ে উঠেছেন। নতুন প্রজন্ম শুরু থেকেই সময়োপযোগী টেকনোলজির সঙ্গে পরিচিত হয়ে বেড়ে উঠছে। আর সেবার ধরন বদলে যাওয়ায় অপেক্ষাকৃত বয়োবৃদ্ধ নাগরিকরাও অনলাইন সেবা গ্রহণে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। দেশের এ অগ্রযাত্রায় রেজিস্ট্রেশন বিভাগকে পিছিয়ে থাকলে চলবে না, যুগের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সেবাপ্রার্থী জনগণকে দ্রুত প্রযুক্তিনির্ভর সেবা প্রদানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসতে হবে। চিন্তা-চেতনা ও মনমানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে-যোগ করেন আইনমন্ত্রী।
আনিসুল হক বলেন, সরকার সব ভূমি রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াকে ডিজিটাইজড করতে চায়। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে ১৭টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ই-রেজিস্ট্রেশন পাইলটিং প্রকল্প সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতার আলোকে দেশের সব সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ই-রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালুর লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ডিপিপি তৈরি করে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১২২১ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে কোনও জটিলতা ছাড়াই নির্ভুলতার সঙ্গে হয়রানিমুক্ত পরিবেশে রেজিস্ট্রেশন কার্য সম্পাদন করতে পারবেন দলিলের দাতা এবং গ্রহীতা। সহজেই নিবন্ধিত দলিলের অনুলিপি তাৎক্ষণিক সংগ্রহ করতে পারবেন তারা। এ ছাড়া দেশের রেকর্ড রুমে রক্ষিত বালাম বই ই-আর্কাইভে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা যাবে। এর মাধ্যমে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ বহুলাংশে হ্রাস পাবে এবং জাল-জালিয়াতিও উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাবে।
এমকে