পাকিস্তানের চেয়ে তুলনা মূলক কম শক্তিশালী দল জিম্বাবুয়ে। বাবর আজমদের বিপক্ষে বড় স্কোরও দাঁড় করাতে পারেনি। জয়ের জন্য লক্ষ্য দিয়েছিল মাত্র ১৩১ রান। তাই অনেকটা নির্ভারই ছিল তারা। কিন্তু এ ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেই নাস্তানাবুদ হলো ইমরান খানের অনুসারীরা। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ছোট পুঁজি নিয়েই পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছে জিম্বাবুয়ে। পার্থে পাকিস্তানকে ১ রানে পরাজিত করে জিম্বাবুয়ে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। ইনিংসের শুরুটাও ভালো হয় তাদের। কিন্তু বড় ইনিংসের আশা জাগিয়েও শেষমেশ ৮ উইকেটে ১৩০ রানে থামে তাদের রানের চাকা।
মোহাম্মদ ওয়াসিম ও শাদাব খানের বোলিংয়েট সামনে দাঁড়াতেই পারেনি তারা। জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন শন উইলিয়ামস। অধিনায়ক আরভিনের ইনিংস শেষ হয় ১৯ রানে। পাকিস্তানের পক্ষে ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন মোহাম্মদ ওয়াসিম, ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে শাদাব খানের শিকার ৩ উইকেট।
জবাব দিতে নেমে ২৩ রানে দুই ওপেনারকে হারায় পাকিস্তান। দলীয় ৩৬ রানে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে ইফতেখার আউট হলে ম্যাচ জমার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে ৩৮ বলে ৪৪ রান করে শান মাসুদ আউট হওয়ার আগে দলকে শক্ত অবস্থানে রেখে যান। শেষ দিকে আবার দ্রুত দুই উইকেট হারায় পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত যেখান থেকে দলকে আর ম্যাচে ফেরাতে পারেনি টেলএন্ডাররা।
শেষ ওভারে ১১ রানের প্রয়োজন থাকলেও ৯ এর বেশি নিতে দেননি ব্র্যাড ইভান্স। পাকিস্তান থামে ১২৯ এ! নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আসরে প্রথম জয় পায় জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ের হয়ে ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন সিকান্দার রাজা। সমান ওভারে সমান রান দিয়ে ইভান্সের শিকার দুটি, যার একটি শেষ ওভারে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
জিম্বাবুয়ে : ২০ ওভারে ১৩০/৮ (মাধেভেরে ১৭, আরভিন ১৯, শাম্বা ৮, উইলিয়ামস ৩১, রাজা ৯, চাকাভা ০, বার্ল ১০, জংওয়ে ০, ইভান্স ১৯, এনগারাভা ৩; শাহিন আফ্রিদি ৪-০-২৯-০, নাসিম শাহ ৪-০-৩৪-০, ওয়াসিম ৪-০-২৪-৪, শাদাব ৪-০-২৩-৩, হারিস রউফ ৪-১-১২-১)
পাকিস্তান : ২০ ওভারে ১২৯/৮ (বাবর ৪, রিজওয়ান ১৪, শান মাসুদ ৪৪, ইফতেখার ৫, শাদাব ১৭, হায়দার ০, নওয়াজ ২২, ওয়াসিম ১২, শাহিন ১ ; মুজারাবানি ৪-০-১৮-১, রাজা ৪-০-২৫-৩, এনগারাভা ৪-০-২৪-০, ইভান্স ৪-০-২৫-২, উইলিয়ামস ২-০-১৫-০, বার্ল ১-০-৭-০, জংওয়ে ১-০-১০-১)
ফল : জিম্বাবুয়ে ১ রানে জয়ী।