ব্যর্থ হলে পৌর মেয়র-কাউন্সিলর অপসারণ

০১ এপ্রিল ২০২২

সরকার প্রদত্ত নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হলে পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরকে অপসারণ করা হবে। অনুস্থলে প্রশাসক বসানো হবে। সরকার চাইলে উপযুক্ত যে কোনো ব্যক্তিকে এ পদে নিয়োগ দিতে পারবে। এমন বিধান রেখে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) বিল-২০২২ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদের চলমান অধিবেশনে বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়। তার আগে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

এতোদিন পৌরসভা সংক্রান্ত প্রচলিত আইনে নতুন পৌরসভা গঠনের পর প্রশাসক বসানোর সুযোগ ছিল। পাস হওয়া বিলে পৌর পরিষদের মেয়াদ শেষে প্রশাসক বসানোর সুযোগ রাখা হয়েছে।   

এদিকে বিলটি পাসের বিরোধীতা করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা) ও বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যরা। যুক্তি হিসেবে তারা সংসদকে বলেন, এটা সংবিধান বিরোধী। কারণ সংবিধানে সর্বস্তরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির কথা বলা রয়েছে। যেখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিরোধিতা করছে বর্তমান সরকার, সেখানে পৌরসভায় কেন অনির্বাচিত ব্যক্তিকে বসানো হবে- প্রশ্ন তোলেন তারা। বিলটি পাসের প্রতিবাদে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদ কিছু সময়ের জন্য ওয়াক আউটও করেন।

অন্যদিকে প্রচলিত আইনের মেয়র ও কাউন্সিলদের অপসারণ সংক্রান্ত ধারায় নতুনভাবে যুক্ত ‘ঝ’তে অপসারণের এ কথা বলা হয়েছে। সংশোধনে একটি ধারায় পরিবর্তন এনে বলা হয়েছে, পৌর পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন পরিষদ গঠনের আগ পর্যন্ত  পৌরসভার কাজ পরিচালনায় একজন প্রশাসক নিয়োগ দেবে সরকার। সরকারি কোনো কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া যাবে, সরকার উপযুক্ত মনে করে এমন কোনো ব্যক্তিকেও প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে। পৌর পরিষদ বাতিল সংক্রান্ত ধারায় নতুন বিধান যুক্ত করে বলা হয়েছে, যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাদিক্রমে ১২ মাস বেতন বকেয়া থাকলে পরিষদ বাতিল হবে।

এমকে

 

 


মন্তব্য
জেলার খবর