ইসরাইলকে অবশ্যই তার পরমাণু বোমা ধ্বংস করে ফেলতে হবে। পাশাপাশি এর পারমাণবিক সাইটগুলোকে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা আইএইএ’র আওতায় নিয়ে আসতে হবে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে উত্থাপন করা এমন এক রেজ্যুলুশনের পক্ষে ভোট দিয়েছে ১৫২ দেশ। অপরদিকে বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে মাত্র পাঁচ দেশ। এ খবর দিয়েছে জেরুজালেম পোস্ট।
খবরে জানানো হয়, গত শুক্রবার উত্থাপন করা রেজ্যুলুশনের বিরুদ্ধে ভোট দেয়া দেশগুলো হচ্ছে- যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইসরাইল, মাইক্রোনেশিয়া ও পালাউ। এছাড়া আরও ২৪ দেশ এতে ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকে। এসব দেশের মধ্যে আছে বৃটেন, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, জার্মানি, ফ্রান্স, হাঙেরি এবং ভারতও।
মিশরের তরফ থেকে জাতিসংঘে এই রেজ্যুলুশন উত্থাপন করা হয়। উত্থাপনের সময় এর পক্ষের স্পন্সর করে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ছাড়াও ১৯ দেশ। যে ১৫২ দেশ ইসরাইলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও।
উল্লেখ্য, ইসরাইল উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী বলে বিশ্বাস করা হয়। বিভিন্ন হিসাব বলছে, বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির কাছে আনুমানিক ৮০ থেকে ৪০০ টি পারমাণবিক ওয়ারহেড আছে।
সেগুলো বিমান থেকে নিক্ষেপসহ বেশ কয়েকটি পদ্ধতিতে ব্যবহার করা সম্ভব। এর মধ্যে সাবমেরিন হতে উৎক্ষেপিত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং জেরিকো সিরিজ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পদ্ধতি অন্যতম। দেশটির প্রথম পারমাণবিক অস্ত্র ১৯৬৬ সালের শেষের দিকে বা ১৯৬৭ এর প্রথম দিকে তৈরি বলে বলে ধারণা করা হয়। বলে মনে করা হয়। যদিও ইসরাইল ইচ্ছাকৃতভাবে এ নিয়ে অস্পষ্টতার নীতি বজায় রেখেছে। পারমাণবিক অস্ত্র থাকার বিষয়টি অস্বীকার বা স্বীকার কিছুই করেনি ইসরাইল। পারমাণবিক অস্ত্রের অপসারণ বা এনপিটি চুক্তিতেও স্বাক্ষর করেনি দেশটি। আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও ইসরাইল বলছে, এই চুক্তি তাদের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থের পরিপন্থী। সূত্র : পার্সটুডে।