পাকিস্তানর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বন্দুক হামলায় আহত হয়েছেন। তার পায়ে গুলি লেগেছে বলে জানিয়েছেন পিটিআই নেতা ফারুক হাবিব। লংমার্চ চলাকালে বৃহস্পতিবার তার ওপর এ হামলা চালানো হয়।
এ হামলার জন্য দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ ও সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ফয়সালকে দায়ী করেছেন ইমরান খান। এক ভিডিও বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন তেহরিক-ই ইনসাফের মহাসচিব আসাদ ওমর। তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে ইমরান খান কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন- জাতির উদ্দেশে তিনি যে বার্তা দিতে চান, আমরা যেন তা আপনাদের কাছে পৌঁছে দিই। আমাদের চেয়ারম্যান বলেছেন, হামলা যে হতে পারে এমন তথ্য তিনি আগেই পেয়েছিলেন এবং তার বিশ্বাস, তিন ব্যক্তি এ হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এই তিন ব্যক্তি হলেন শাহবাজ শরিফ, রানা সানাউল্লাহ ও মেজর জেনারেল ফয়সাল।’
আসাদ ওমর আরো জানান, “ইমরান খান আরও বলেছেন, ‘পিটিআই অবিলম্বে এ তিন জনের পদত্যাগ চায়। যদি তা না হয়, সেক্ষেত্রে দেশজুড়ে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।”
ক্ষমতাসীন জোট সরকারের পদত্যাগ ও আগাম নির্বাচনের দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোরের লিবার্টি চক থেকে লংমার্চ শুরু করে ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনাসাফ (পিটিআই)। ৪ নভেম্বর ইসলামাবাদের রাওয়াত এলাকায় শেষ হওয়ার কথা ছিল এ কর্মসূচির। দলের চেয়ারম্যান হিসেবে লংমার্চের শুরু থেকেই গাড়ি বহরের সামনে ছিলেন ইমরান।
লংমার্চের অংশ হিসেবে আজ ওয়াজিরাবাদ শহরে সমাবেশ করছিলেন ইমরান খান। এক সন্দেহভাজন হামলাকারী তার পা লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি করে। হামলার পরই তাকে চিকিৎসার জন্য লাহোরের শওকত খানম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ইমরান খানের পায়ে অন্তত তিন থেকে চারটি গুলি বিদ্ধ হয়েছে। তবে তিনি আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন।