রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। রাশিয়াকে পরাজিত করতে সবধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে দেশটি। এবার ড্রোন বিধ্বংসী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘ভ্যাম্পায়ার’ দিতে যাচ্ছে দেশটি। শিগগিরই এটি হাতে পাবে বলে আশা করছে ইউক্রেন। এদিকে পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি প্যাট রাইডারও এ বিষয়ে ওয়াশিংটনের প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করেছেন। ইপর্যপুরি রুশ ড্রোন হামলায় কিয়েভ যখন বিপর্যস্ত ঠিক সেসময়ে এ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হাতে পেতে যাচ্ছে ইউক্রেন।
রাইডার বলেন, লেজার গাইডেড মিসাইল লঞ্চার সরবরাহ করবে আমেরিকা। তবে এটি পৌঁছাতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে এ ব্যবস্থা কিয়েভে পৌঁছাতে পারে বলে তিনি আশা করেন।
প্যাট রাইডার আরো বলেন, এ মুহূর্তে ইউক্রেনের জন্য আমেরিকার কাছে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সবচেয়ে অগ্রাধিকার পাচ্ছে।
গত আগস্ট মাসে পেন্টাগন ঘোষণা করেছিল যে, ইউক্রেনের জন্য নতুন করে ৩০০ কোটি ডলারের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম পাঠানো হবে। এ ড্রোন বিধ্বংসী ব্যবস্থা ‘ভ্যাম্পায়ার’ তারই অংশ বলে মুখপাত্র প্যাট রাইডার জানান। এছাড়া, ওই অস্ত্র প্যাকেজের আওতায় ইউক্রেনকে ন্যাশনাল অ্যাডভান্সড সারফেইস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম দেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে আমেরিকা। আমেরিকা এ ধরনের আটটি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ইউক্রেনকে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যার মধ্যে দুটি খুব শিগগিরই ইউক্রেনে পৌঁছে যাবে।