দামে এখনো উত্তাপ ছড়াচ্ছে নিত্যপণ্য

০৫ নভেম্বর ২০২২

দেশের বাজারে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে এখনো জনমনে স্বস্তি ফিরেনি। কী চাল, কী ডাল বা আটা আর ময়দা- উত্তাপ ছড়াচ্ছে প্রায় সব নিত্যপণ্যের দাম। এ সপ্তাহেও বেড়েছে চাল, আটা-ময়দা, তেল, চিনি, পেঁয়াজ, মসুর ডালের দাম। এদিকে বাড়তি দামের কারণে একদিকে চাহিদা থাকলেও কম পণ্য কিনছেন ক্রেতারা, অপরদিকে বিক্রেতারা বলছেন,  বিক্রি কমে গেছে তাদের।

দোকানিদের ভাষ্য, আগে যারা বেশি করে পণ্য কিনতেন, দাম বাড়ায় তারাই এখন কম করে পণ্য কিনছেন। কেবল দাম শুনেই ফিরে যাচ্ছেন অনেকে। অনেকে যেটা না নিলেই নয়, সেসব পণ্য কিনছেন; তাও এক কেজির পরিবর্তে আধা কেজি।  প্যাকেটের পরিবর্তে খোলাটা কিনছেন অনেকে।

বাজার তথ্য বলছে, সরু ও মাঝারি চালের দাম কেজিতে বেড়েছে দুই টাকা। বর্ধিত দরে সরু চাল ৬৫ আর মাঝারি মানের চাল ৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত তিন দিনে মিল পর্যায়ে মোটা চালের বস্তা প্রতি (৫০ কেজি) ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। তাই খুচরা বাজারেও পড়েছে প্রভাব, কেজিতে ১-২ টাকা বেড়েছে দাম। পাইজাম ও গুটি স্বর্ণা ৫৩ থেকে ৫৬ টাকায় আর বিআর-২৮ ধানের চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়  বিক্রি হচ্ছে। দাম বেড়ে খোলা আটার কেজি ৬২ টাকা, কেজি ওজনের প্যাকেট আটা ৬৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভালো মানের ময়দার দাম এখন ৬৫-৭০ টাকা। ডালের দামও বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা। এদিকে সরকার নির্ধারিত দরে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৭৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন ১৫৮ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও ভোক্তাদের কিনতে হচ্ছে তার চেয়ে বেশি দামে। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, সরকারের কাছে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়ার পরেই তেলের দাম বেশি নেওয়া শুরু করেছে ডিলাররা। পাইকারি পর্যায়ে প্রতি ড্রাম (২০৪ লিটার) সয়াবিন ও পাম তেলে এক থেকে দেড় হাজার টাকা বেড়েছে। টিসিবির হিসাবে, গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিনে ১০ টাকা, লিটারে খোলা পাম অয়েলে ৩ টাকার মতো বেড়েছে দাম।

বাজার তথ্য আরও বলছে, প্রতি কেজি খোলা চিনি ৯০ টাকা এবং প্যাকেটজাত ৯৫ টাকা নির্ধারিত থাকলেও সংকট দেখিয়ে বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা দরে। দাম বেড়ে প্রতি কেজি দেশি  মসুর ডাল ১২৫ থেকে ১৩০ এবং আমদানিরটা ১০০ থেকে ১০৫ টাকায় আর মোটা মসুর ৯৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৫ টাকা বেড়ে দেশি পেঁয়াজের কেজি ঠেকেছে ৬০ টাকায়। আমদানির পেঁয়াজের কেজিও বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। বর্ধিত দরে রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায়। শুকনো মরিচের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকার মতো। শুকনো মরিচ দেশিটা ৩৫০ টাকা  আর আমদানিরটা ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আদার দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা, দেশিটা ১২০ টাকা আর আমদানিরটা ১৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি। একইভাবে ৪৪০ টাকা দরের জিরা বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা কেজি। দাম চড়া শাকসবজি আর মাছেরও। গরু-খাসির মাংস স্থিতিশীল থাকলেও উঠা-নামা করছে মুরগীর মাংসের দাম।

এমকে

 

 


মন্তব্য
জেলার খবর