বিশ্বে শান্তি বজায় রাখার জন্য একমত হয়েছে জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশের নেতারা। নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পদক্ষেপ নিতে বদ্ধ পরিকর দেশগুলো। এরই লক্ষ্যে চীনকে হুমকি, ভীতি প্রদর্শন বা বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
জার্মানিতে শেষ হয়েছে জি-৭ বৈঠক। সভা শেষে সাত দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সম্মিলিতভাবে জানিয়েছেন, তাইওয়ান অঞ্চলে শান্তি ও দীর্ঘকালীন স্থিতিশীলতার প্রয়োজনীয়তার কথা। চীনে সদ্যই শেষ হয়েছে পার্টি কংগ্রেস। এ প্রেক্ষিতে জি-৭ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আগামীর পরিকল্পনা নিয়ে একটি সম্মিলিত প্রতিক্রিয়া দেবে বলে দাবি করেছিলেন আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।
বৈঠক শেষে জারি করা বার্তায় বলা হয়েছে, ‘‘আমরা চীনকে মনে করিয়ে দিতে চাই হুমকি, ভীতি প্রদর্শন বা বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকার প্রয়োজনীয়তার কথা।’’ পাশাপাশি বলা হয়েছে, ‘‘একতরফাভাবে যে কোনো শক্তি প্রদর্শন বা হুমকির ঘটনা স্থিতাবস্থার পরিপন্থী হয়ে উঠতে পারে বলে আমরা দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি।’’ একই সঙ্গে পূর্ব ও দক্ষিণ চিন সাগরে জিনপিংয়ের দেশের গতিবিধি নিয়েও জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি যে চিন্তিত, তাও বলা হয়েছে।
যদিও তাইওয়ানকে নিজেদের সীমানার মধ্যেই বলে দাবি করছে চীন। সার্বভৌমত্ব বিসর্জনে নারাজ তাইওয়ানও। তা নিয়েই দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ইদানীং বরফ শীতল, যা মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে গোটা বিশ্বের অর্থনীতির জন্য। শুধু তাইওয়ানই নয়, চীনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়ে নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ সূত্রেই ঘুরেফিরে এসেছে তিব্বত ও হংকংয়ের প্রসঙ্গ।