জ্বালানির দাম ও ভর্তুকি নিয়ে আলোচনা

০৭ নভেম্বর ২০২২

দেশে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণ পদ্ধতি, এ খাতের ভর্তুকির ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়সহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সঙ্গে আলোচনা হয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ)। আইএমএ ‘র একটি প্রধিনিধি দল বিইআরসির কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য চাইলেও পরামর্শ দেয়নি কোনও। তাদের কাছে দাম নির্ধারণের পদ্ধতি তুলে ধরা হয়েছে বিইআরসির পক্ষ থেকে। রোববার (৬ নভেম্বর) বিইআরসি অফিসে প্রায় দুই ঘণ্টা অবস্থান করে প্রতিনিধি দলটি।

চার সদস্যের দলটিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এশিয়া প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দ। বিইআরসি অফিসে এ সময় বিইআরসি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, সদস্য আবু ফারুকসহ কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে  ডিসপিউট সেটেলমেন্ট, সব কস্ট যোগ করা হয় কি-না, কয়েকবার দাম নির্ধারণ করা যায়- এসবসহ বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়েও আলোচনা করেছে প্রতিনিধি দলটি। বিইআরসির অধীনে গঠিত তহবিলগুলোর বিষয়েও জানতে চেয়েছে তারা। কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যৌক্তিক কস্টগুলো বিবেচনা করা হয়। তবে সাবসিডি থাকলে কস্ট থেকে বাদ দেওয়া হয়। তহবিলের বিষয়ে বলা হয়েছে, এ তহবিলের টাকা কিছু প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে, কিছু  যাচ্ছে এলএনজি কেনায়। রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঞ্চালন লাইনের রিভার ক্রসিং কাজের জন্য সম্প্রতি প্রায় ১২০০ কোটি টাকা গেছে। বিনিয়োগকারী এবং সরকারের মধ্যে কোনও ঝামেলা সৃষ্টি হলে সেটা নিরসন করে বিইআরসির থাকা একটি সালিশি কমিটি। এ কমিটির কাজের বিষয়েও আইএমএফ বিস্তারিত জানতে চেয়েছে বলে জানা গেছে।

 প্রসঙ্গত, ১৫ দিনের সফরে গত ২৬ অক্টোবর প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশে এসেছে। এর মধ্যে ২ নভেম্বর পিডিবি এবং বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে আর ৩ নভেম্বর জ্বালানি বিভাগ ও পেট্রোবাংলার সঙ্গে সভা করেছে তারা। দলটি সরকারের নীতিনির্ধারক এবং অংশীজনদের সঙ্গে আরও বৈঠক করবে বলে জানা গেছে।

এমকে

 

 


মন্তব্য
জেলার খবর