সর্বোচ্চ গ্রাহককে টাকা ফেরত দিয়ে ব্যবসায় ফিরছে কিউকম

০৭ নভেম্বর ২০২২

অনেক দিন বন্ধ থাকার পরে দেশের ই-কমার্স ব্যবসায় ফিরেছে কিউকম। গ্রাহকের পুরানো আস্থা ধরে রাখতে নিয়েছে নানা উদ্যোগ, ফেরত দিচ্ছে গ্রাহকদের পাওনা টাকাও। পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকা পড়া গ্রাহকের টাকার মধ্যে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গ্রাহককে টাকা ফেরত দিয়েছে এ প্রতিষ্ঠান। তবে আইনি জটিলতায় অর্থ ছাড়ে ধীরগতি থাকায় কিউকমসহ এ খাতের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে টাকা ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা বেগ পোহাতে হচ্ছে। এ ব্যবসায় জড়িত ৫০টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কাছে ১৩ হাজার অভিযোগ এসেছে। গ্রাহকের কাছে কয়েক হাজার কোটি টাকা দেনা আছে অভিযুক্ত ৩৯টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের। এর মধ্যে কিউকমের বাইরে অন্য ১২টি প্রতিষ্ঠান মিলে গ্রাহককে ফেরত দিয়েছে প্রায় ৫০ কোটি। আইনি জটিলতায় অর্থ ছাড়ে ধীরগতির কথা বলছে মন্ত্রণালয়ের ই-কমার্স সেল।

প্রাপ্ত তথ্য বলছে, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান বন্ধের পর পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকা পড়েছিল ৫শ’ কোটি টাকা। এর মধ্যে অন্যতম ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকমের ছিল প্রায় ৪শ’ কোটি টাকা। এ টাকার মধ্যে গ্রাহকের পাওনাই ছিল অর্ধেকের বেশি- আড়াইশ’ কোটি টাকা। পাওনা টাকার মধ্যে প্রায় ২৩০ কোটি টাকা গত ছয় মাসে গ্রাহকদের ফেরত দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০২১ সালে একের পর এক বন্ধ হয়ে যায় ই-ভ্যালি, ই- ওরেঞ্জ, ধামাকা আলেশা মার্ট, কিউকমসহ অর্ধশত প্রতিষ্ঠান।

কিউকমের প্রধান নির্বাহী রিপন মিয়ার কথায়, বন্ধের সময় তার এ্যাকাউন্টে ৪শ’ কোটি টাকা ছিল। এ খাত নিয়ে গঠিত কমিটি ওইটাই পেয়েছে। তার গ্রাহকদের অর্ডারের ছিল আড়াইশ’ কোটি টাকা। সেই জিনিসটাই পেয়েছে। মাঝখান থেকে হুট করে তার ইন্ডাসিট্র বন্ধ হয়ে যায়। গণমাধ্যমকে এ বিষয় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানান তিনি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেছেন, ই-ভ্যালির সর্বোচ্চ অভিযোগ পেন্ডিং আছে, প্রায় আট হাজারের মতো। অন্য অভিযোগগুলোর মধ্যে কিউকম ও আলিশা প্রতিষ্ঠান দু’টিকে খুঁজে পাওয়া গেছে। এটা নিষ্পত্তি করছি। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যারা পলাতক বা এখনো যোগাযোগ করেনি, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, জানান মহাপরিচালক। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ই-কমার্স সেলের প্রধান নির্বাহী হাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেছেন, গ্রাহকের পরিপূর্ণ পাওনাটা যেন পরিশোধ হয়, সে চেষ্টা করা হচ্ছে।

 

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর