দেশে একযোগে ১০০টি সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার (৭ নভেম্বর ) সেতুগুলো উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সব সেতু দেশের সার্বিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে, এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেতুগুলোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন।
সেতুগুলোর সম্ভাব্য সুবিধা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কোনো দুর্যোগে মানুষকে সাহায্য করা সহজ হবে। পণ্য পরিবহন এবং বিপণন ও দ্রুত এবং সহজ হবে। ফেরি পরিষেবা থেকে মুক্ত করায় সেতুগুলো রাজধানীর সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করেছে। সড়ক যোগাযোগকে অবাধ, দ্রুত, সহজ এবং নিরাপদ করবে। সবচেয়ে বড় কথা দেশের উন্নয়নকে দ্রুততর করতে পারবো। সেতুগুলো জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সহায়তা করবে- যোগ করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেনকে যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক মন্দা এবং বিশ্বে খাদ্য সংকট সৃষ্টি নিয়েও কথা বলেন। সংকট মোকাবেলায় দেশবাসীকে সাশ্রয়ী এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে মিতব্যায়ী হওয়ার পাশাপাশি সার্বিক উৎপাদন বাড়ানোর আহবান পূণর্ব্যক্ত করেন।
প্রসঙ্গেত,দেশের ২৫টি জেলায় ৮৭৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা খরচ করে এ সব সেতু নির্মাণ করে সরকার। সেতুগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৬টি, সিলেট বিভাগে ১৭টি, বরিশাল বিভাগে ১৪টি, ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগে সাতটি, ময়মনসিংহ বিভাগে ছয়টি এবং রংপুর বিভাগে তিনটি রয়েছে।
এমকে