রোজার মাস পার নিয়ে দুশ্চিন্তা

০২ এপ্রিল ২০২২

তিন মাস হচ্ছে কমবেশি বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। এতে নিম্ন ও সীমিত আয়ের বেশিরভাগ মানুষই তাদের আয় দিয়ে চাহিদা অনুযায়ী পণ্য কিনতে পারছেন না, কোনোমতে টেনেটুনে পরিবারের সদস্যদের খাবারের যোগান দিচ্ছেন। এদিকে রমজান শুরুর আগেই ইফতার ও সেহরিতে ব্যবহৃত নিত্যপণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে চড়া দামে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে গোটা রমজান মাস পার করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সাধারণ ভোক্তারা। ওদিকে সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, নিত্যপণ্যের দাম এখন সহনীয় পর্যায়ে আছে, রমজান মাসেও সহনীয় পর্যায়ে থাকবে আশা করা যায়।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) রাজধানী ঢাকার বাজারের তথ্য বলছে, গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে বৃদ্ধি পাওয়া দামের তালিকায় আছে সয়াবিন, খোলা পাম অয়েল, মসুর ডাল আর মাছ-মাংস। চিনির কেজি আগের দরে এখনো বিক্রি হলেও সবজির দাম নিয়ে ভোক্তাদের রয়েছে অসন্তোষ। এক লাফে দ্বিগুনের বেশি বেড়েছে ইফতারের অন্যতম উপকরণ বেগুনের দাম।

সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির তথ্যানুযায়ী,  এখন প্রতিলিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৫৪ টাকা দরে। একই পরিমাণ তেল গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৫৩ টাকায়। গত সপ্তাহের ১৩৫-১৩৬ টাকা লিটারের খোলা পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়। খুচরা ব্যবসায়ীরা ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি করেছেন ৭৪০-৭৬০ টাকা দরে। তবে বোতলজাত ১ লিটার সয়াবিন তেলের দাম কিছুটা কমেছে বলে জানা গেছে। মসুর ডালের (ছোট দানা ) দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা। আগের সপ্তাহের ১১৫ টাকা কেজি দরের এ ডাল শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকায়। খুচরায় বেগুনের কেজি বিক্রি হয়েছে ৭০-১০০ টাকা, গত সপ্তাহে দর ছিল ৩০-৪০ টাকা। কেজি প্রতি চিনির দাম ৮০ টাকা নিচ্ছে বিক্রেতারা, গরুর মাংস ৭০০ টাকার নিচে কিনতে পারছে না ক্রেতারা। গত সপ্তাহের ১৭০ টাকা কেজি দরের ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। লেয়ার ২৬৫ ও কক মুরগি ৩৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস দেশি মুরগি বড় ৫০০, মাঝারি ৪৫০ ও ছোট ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। টিসিবির তথ্য বলছে, গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে দেশি মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ শতাংশ। ব্রয়লারের ক্ষেত্রে এ হার ৭ এর মতো।

বাজারের তথ্য বলছে, সবজির মধ্যে প্রতি কেজি  পটল ৫০-৬০ টাকা, করলা ৫০-৬০, বরবটি ৬০-৭০, ঢেঁড়শ ৪০-৫০, সজনের ডাঁটা ১০০-১৫০, পাকা টমেটো ২০-৩০, শিম ৪০-৬০ টাকা ও আলু ২০ দরে বিক্রি হয়েছে। প্রতি পিস লাউ ৫০-৬০, শাকের আঁটি লাল ও পালং ১০-১৫, লেবুর হালি ৪০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পেঁয়াজের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। কেজি প্রতি দেশি আদা ৯০-১০০, চায়না আদা ৮৫, চায়না রসুন ১০০, দেশি রসুন ৬০-৭০ ও শুকনা মরিচ ২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। ডালের মধ্যে মুগ ১২৫, বুট ৮০, অ্যাংকর ৫৫, ছোলা ৭৫-৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর