এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। রাশিয়ার একের পর এক হামলায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে দেশটি। বাতাসে বারুদের গন্ধ। বিকট শব্দে একের পর এক আছড়ে পড়ছে রাশিয়ার ক্ষেপনাস্ত্র। ঝরে যাচ্ছে তাজা তাজা প্রাণ। ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। নিরাপত্তা নেই কোথাও। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালিয়েছে দেশটির বাসিন্দারা। কবে যুদ্ধ থামবে? কবে ঘরে ফিরতে পারবে? তারই প্রহর গুনছে তারা।
দু’দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা করছেন বিশ্ব নেতারা। তবে কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নন। এ জন্য আলোচনার প্রচেষ্টা সফল হয়নি। তবে এবার রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে এজন্য শর্ত দিয়েছেন, বলেছেন ইউক্রেনের দখল করা জমি ফিরিয়ে দিলে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসবেন তিনি।
যুক্তরাজ্যের অভিযোগ, ফ্রন্টলাইনে নতুন করে সেনা পাঠাচ্ছে রাশিয়া। নিজেদের ডিফেন্স লাইনও তারা শক্তিশালী করছে। এরই মধ্যে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, এখনো প্রতিদিনই নতুন নতুন প্রক্রিয়ায় জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে রাশিয়া। পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব ইউক্রেনে এখনো তীব্র লড়াই চলছে। কিন্তু ইউক্রেনের সেনা রাশিয়াকে এক ছটাক জমিও দখল করতে দেয়নি।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, রাশিয়া মানুষের দাবি মেনেই কয়েকটি এলাকাকে প্রথমে স্বাধীন ঘোষণা করা হয়েছিল এবং পরে তা নিজেদের শাসনাধীনে নিয়ে এসেছে। ওই অঞ্চলে গণভোটের আয়োজন করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ রাশিয়ার অংশ হওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। তারপরই রাশিয়া তা অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে সেই অঞ্চল ইউক্রেনকে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।