নৌপথ, সড়কপথ, রেলপথ, আকাশপথের ব্যাপক উন্নয়ন সাধনের মাধ্যমে সারা দেশে যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন- বেশিরভাগ কাজ দেশের অর্থ দিয়ে করা হয়েছে, যেন কারও কাছে হাত পেতে চলতে না হয়। সম্মানের সঙ্গে বাংলাদেশ চলবে, এ কথাটা মনে রাখতে হবে সবাইকে।
শনিবার (১২ নভেম্বর) ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন ও কাজের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
যোগাযোগ নেটওয়ার্কের ফল দেশের মানুষের পাওয়ার কথা জানাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। বলেন, পদ্মা সেতু করা হয়েছে। কিছু ইলিশ মাছ পাঠানোর ম্যাসেজ ভোরবেলা পাঠানো হলো আমাকে। সাড়ে সাতটায় ম্যাসেজ পেলাম, সাড়ে নয়টার মধ্যে মাছ পৌঁছে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৩ বছরের মধ্যে এ বাংলাদেশ বদলে গেছে। মুজিববর্ষে তার সরকারের সিদ্ধান্ত ছিল- একটি মানুষ গৃহহীন ভূমিহীন থাকবে না। ঘর করে দেওয়া হচ্ছে। বিএনপির আমলে যে সমস্ত এলাকায় দুর্ভিক্ষ, মঙ্গা লেগে থাকত- এখন কোনো মঙ্গা নেই। যেটুকু খরচ করা হয়েছে, সেটুকু জনগণের কল্যাণে; জনগণের স্বার্থে। দেশের মানুষের কল্যাণটাই সব থেকে বড় কথা। দেশের অর্থনীতি যাতে শক্তিশালি থাকে, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি বলে আমরা অনলাইনে যোগাযোগ করতে পাচ্ছি। বহু ছেলেমেয়ে অনলাইনে ইনকাম করেও খাচ্ছে। এ উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখে এগিয়ে যেতে হবে।
আসন্ন বৈশ্বিক দূর্ভিক্ষ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক ইঞ্চি জমি যেন অনাবাদি না থাকে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এখন জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত, করোনা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, যুদ্ধের কারণে স্যাংশন, কাউন্টার স্যাংশন- এসবের ফলে প্রত্যেকটা জিনিসের পরিবহনের খরচ বেড়ে গেছে। তাই নিজেদের ফসল উৎপাদন, খাদ্য উৎপাদন করতে হবে। পুষ্টি নিশ্চয়তার ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশ্বে কোনো দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিলেও বাংলাদেশে যেন কোনমতেই সেই ধাক্কা না লাগে, সেই দিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
এমকে