পোলান্ডে আছড়ে পড়া সেই ক্ষেপানাস্ত্র রাশিয়ার নয় বরং ইউক্রেনের ছোড়া বলে জানা গেছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবদনে জানিয়েছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী একটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্রকে রুখতে গিয়ে আর একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। বুধবার ওই ক্ষেপণাস্ত্র গিয়ে পড়ে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে পূর্ব পোল্যান্ডের একটি গ্রামে।
এই হামলার ঘটনায় দু’দেশের মধ্যে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আঁন্দ্রে ডুডা ওই ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার নিক্ষেপ করা কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। নড়েচড়ে বসে পোল্যান্ডের বিদেশ মন্ত্রণালয়। রাশিয়ায় তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র কেন ও কীভাবে তাদের দেশে গিয়ে পড়ল, তার দ্রুত কার্যকারণ ও ব্যাখ্যা চেয়ে ওয়ারশে অবস্থিত রুশ দূতাবাসে তলব পাঠানো হয়। এরপর রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রণালয় প্রতিক্রিয়া দেয়।
রাশিয়া জানায়, পোল্যান্ডে পড়া ক্ষেপণাস্ত্র কোনোভাবেই তাদের নয়। উল্টে উত্তেজক পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য পোল্যান্ডকে দায়ী করেছে দেশটি। জি-২০ সম্মেলনের মাঝে এ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ন্যাটো-সঙ্গী দেশ পোল্যান্ডের পাশে দাঁড়িয়েও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, “এ হামলা রাশিয়ার না-ও হতে পারে।”
এ ঘটনায় আমেরিকাও বিবৃতি দিয়েছে । বাইডেন বলেছেন, “ওই ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ারই পাঠানো কি না, তা নিয়ে স্পষ্ট কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, ‘‘ঠিক কী ঘটেছে, তা তদন্তসাপেক্ষ। তবে আমরা পোলান্ডের পাশে আছি। পশ্চিম ইউক্রেনে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। প্রথম থেকেই আমরা ইউক্রেনের সঙ্গে আছি। প্রতিরক্ষার জন্য ইউক্রেনকে যথাসম্ভব সাহায্য করব।’’
অন্য দিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পোলান্ডে নিহত দুই নাগরিকের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন। তবে নতুন এ তথ্য সামনে আসার তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।