চলতি মৌসুমের জন্য সরকার এক লাখ ৮০ হাজার টন সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ জন্য মোট খরচ ধরা হয়েছে এক হাজার ২৯৩ কোটি ১৭ লাখ ৩৪ হাজার ৮০৭ টাকা। সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও কানাডা থেকে এ সার কেনা হবে। এ সারের মধ্যে ইউরিয়া, এমওপি, ডিএপি রয়েছে। বুধবার (১৬ নভেম্বর) সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সংক্রান্ত ৬টি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভায় ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৈঠক শেষে বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাইদ মাহবুব খান।
সাইদ মাহবুব খান জানান, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে পঞ্চম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানি করা হবে। এতে লাগে ১৮৯ কোটি ২৮ লাখ ৪৭ হাজার ৩৬৯ টাকা। বিসিআইসির মাধ্যমে সৌদি আরবের এসএবিআইসি এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ১৩তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানি করা হবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮৯ কোটি ২৮ লাখ ৪৭ হাজার ৩৬৯ টাকা। সৌদি আরব থেকে অন্য একটি লটে এসএবিআইসি এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ১৪তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে ১৮৯ কোটি ২৮ লাখ ৪৭ হাজার ৩৬৯ টাকা। কানাডা থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন মিউরেট অব পটাশিয়াম (এমওপি) সার আমদানি করা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ৪১৬ কোটি ৫৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। সৌদি আরব থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সার আমদানি করা হবে, এ জন্য ব্যয় হবে ৩০৮ কোটি ৭৮ লাখ ২৪ হাজার ৪০০ টাকা।
এমকে