ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি কেন্দ্র লক্ষ্য করে মিসাইল হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এটাকে এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের উপরে সবথেকে ভয়াবহ মিসাইল হামলা বলে ধারণা করা হচ্ছে। শতাধিক মিসাইল আঘাত হেনেছে। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে রাজধানী কিয়েভসহ প্রধান শহরগুলো।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিচকো জানান, শহরের পেচেরস্ক এলাকার তিনটি ভবনে আঘাত হানা হয়েছে। এই হামলা এমন এক সময়ে হলো যখন ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন থেকে বিশ্ব নেতারা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রুশ অভিযানের নিন্দা জানিয়েছেন। ঐ সম্মেলনে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ একটি বিমানে চড়ে বালি ছেড়ে যাওয়ার পর পর এ হামলা চালানো হয়। খভর বিবিসির।
বিবিসির খবরে আরো জানানো হয়, বরাবরের মতো এবারও কিয়েভ অনেকগুলো মিসাইল ভূপাতিত করার দাবি করেছে। যদিও অন্তত ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানানো হয়েছে দেশটির তরফ থেকে।
এসব হামলার পর সারা দেশে বিমান হামলার সতর্কতা জারি করা রয়েছে। মিকোলায়েভ ও ওডেসাসহ অন্য শহরেরও কয়েকদফা মিসাইল আক্রমণ হয়েছে। খারকভ ও লাভভ শহরেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। লাভভের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ চলে গেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, সারাদেশে রাশিয়া প্রায় ৮৫টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। আরও ২০টি আঘাত হানতে পারে বলে হুঁশিয়ার করেছেন। পরে রাতে অন্য এক আপডেটে ইউক্রেনীয় গণমাধ্যমগুলো একশ মিসাইল নিক্ষেপের কথা জানায়। চেরনিহিভের গভর্নর ভিয়াচেস্লাভ চাউস মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে সতর্ক করে বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত রয়েছে।