বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় চাপ বাড়ছে রিজার্ভের ওপর। এমন পরিস্থিতির মধ্যে অনেকেই হুন্ডির মাধ্যমে (অবৈধ পথে) রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। হুন্ডিতে রেমিট্যান্স পাঠানো আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হওয়ায় যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। বলেছে, হণ্ডির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে প্রমাণসাপেক্ষে প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বুধবার (১৬ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে বিএফআইইউ।
বিএফআইইউ বলছে, কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে (হুন্ডি বা অন্য কোনো অবৈধ পথে) পাঠনো আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এতে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আইনি জটিলতা এড়াতে তাই রেমিট্যান্স বৈধ পথে/ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য বলছে, ইতোমধ্যে হুন্ডিতে রেমিট্যান্স আনার ঘটনায় জড়িত মোবাইল ব্যাংকিংয়ের পাঁচ হাজারের বেশি এজেন্টশিপ বাতিল করা হয়েছে। এ সব এজেন্টের সুবিধাভোগীদের হিসাব জব্দ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাওয়া সন্দেহভাজন ২৩০টি হিসাব জব্দ করা হয়েছে ইতোমধ্যে। সব ব্যাংক এবং এমএফএস প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে এ ধরনের লেনদেন শনাক্ত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে অবৈধ উপায়ে অর্থ পাঠাবে না- এ শর্ত ওই ২৩০টি হিসাব ফের সচল করা হবে। এ বিষয়ে গণসচেতনতাও বাড়ানো হবে। এরপরও হুন্ডিতে রেমিট্যান্স আনার বিষয়টি প্রমাণিত হলে পুরো অর্থ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে। সেই সঙ্গে সুবিধাভোগীর বিরুদ্ধে মামলাসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমকে