কাটছে না অস্বস্তি

১৯ নভেম্বর ২০২২

চড়া দামে নিত্যপণ্য ক্রয় নিয়ে সাধারণ ভোক্তার মধ্যে বিরাজমান অস্বস্তি এখনো কাটেনি। নতুন করে চিনি আর ভোজ্যতেল সয়াবিনের মুল্যবৃদ্ধিতে ক্ষোভ আরও বেড়েছে। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের হিসাব মেলাতে পারছেন না তারা। কবে নাগাদ দাম কমবে বা আদৌও কমবে কিনা, সেটা কেউ বলতে পারছেন না। বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেল ও চিনির দাম বেড়েছে। এর যার প্রভাবে পড়েছে বাজারে।

শুক্রবারে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, বেড়েছে চিনি, ডাল, আটা ও ভোজ্যতেলের দাম। শীতকাল এলেও সবজি দামটা এখনো আগের বছরের মতো কমেনি। ফার্মের  ডিম আর মুরগির দরে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও অপরিবর্তিত আছে অন্যান্য পণ্যের দাম।

সবশেষ লিটারে ১২ টাকা বাড়ানোয় এক লিটার সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা দরে। আর ৪৫ টাকা বেড়ে ৮৮০ টাকার পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিনের মূল্য এখন ৯২৫ টাকা। এখন কেজিপ্রতি খোলা আটা ৬০-৬২ টাকা ও প্যাকেট আটা ৭০-৭৫ টাকা দাম। দুই কেজির প্যাকেট আটা কিনতে ভোক্তাকে গুনতে হচ্ছে ১৪৫-১৫০ টাকা। সবশেষ দাম বাড়ানোর আগে এ দর ছিল ১২০-১২৫ টাকা। সরকারের পক্ষ থেকে চিনির দাম কেজি প্রতি ১০৮ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সে দরে ভোক্তারা চিনি কিনতে পারছেন না, কিনতে হচ্ছে তার চেয়ে বেশি দামে, এক কেজি খোলা চিনি ১১০-১১৫ টাকা আর  প্যাকেট চিনি ১১৫-১২০ টাকায়  বিক্রি হচ্ছে।  কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে দেশি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা দরে। ইন্ডিয়ানটাও কিনতে হচ্ছে  শ‘য়ের উপরে- ১২০-১২৫ টাকা কেজি দরে। তবে দাম কমে লাল ডিমের ডজন ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হাঁসের ডিম আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে, ডজন ১৯০-২০০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২২০-২২৫ টাকা।

ওদিকে শীতের কাঁচাবাজারে দামের আচ লাগছে ভোক্তাদের। আকারভেদে পাতাকপি ও ফুলকপি ৫০-৬০ টাকা, প্রতিকেজি শসা ৭০-৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০-৭০ টাকা, গোল বেগুন ৮০-৯০ টাকা, টমেটো ১২০-১৩০ টাকা, শিম ৮০-৯০ টাকা, করলা ৮০-৯০ টাকা, বরবটি ৬০-৮০ টাকা, ধুন্দুল ৬০-৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০-৮০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৪০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে গত শুক্রবার। সবজি বিক্রেতা বলছেন, আমদানি ও সরবরাহ কম থাকায় এখনো সবজির দাম বেশি।  দু-এক সপ্তাহের মধ্যেই দাম কমে যাবে বলে আশা করা যায়।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর