দৈনিক চোরাচালান ২০০ কোটি টাকার সোনা

২৫ নভেম্বর ২০২২

দেশের সোনা ব্যবসায় বড় ধরনের সংকট ও চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে চোরাচালান। এ চোরাচালান শুধু দুর্নীতিকে উৎসাহিত করছে না, এর প্রভাবে  বাড়ছে অর্থনৈতিক সংকটও। প্রতিদিন প্রায় ২০০ কোটি টাকার সোনার অলংকার ও বার চোরাচালানের মাধ্যমে দেশে আসছে। বছর শেষে এ টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা। চোরাচালানের এ তথ্য দিয়েছে সোনা ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও বাজুসের এক বৈঠকে এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএফআইইউ’র প্রধান কর্মকর্তা  মো. মাসুদ বিশ্বাস। বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ও বিএফআইইউ’র উপপ্রধান ও  ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।

বৈঠকে সোনার চোরাচালান বন্ধে সংগঠনটির পক্ষ থেকে ৭টি প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। প্রস্তাবনাগুলো  হলো— ১. চোরাকারবারিদের চিহ্নিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বাজুসের সমন্বয়ে যৌথ মনিটরিং সেল গঠন করা। আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে চোরাকারবারিরা যাতে বেড়িয়ে যেতে না পারে, সে জন্য আইন সংশোধন করে আরও  কঠোর আইন প্রণয়ন করা। ৩. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জোড়ালো অভিযান নিশ্চিত করা। ৪. আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সদস্যদের উৎসাহিত করতে উদ্ধার হওয়া মোট সোনার ২৫ শতাংশ পুরস্কার হিসেবে তাদের প্রদানের ব্যবস্থা করা। ৫. ব্যাগেজ রুলের আওতায় সোনার বার ও অলংকার আনার সুবিধার অপব্যবহারের কারণে ডলার সংকট, চোরাচালান ও মানিলন্ডারিংয়ের ওপর প্রভাব নিরূপণে বাজুসকে যুক্ত করে যৌথ সমীক্ষা পরিচালনা করা। ৬. চোরাকারবারিরা যেন সোনার বার বা অলংকার দেশে আনতে এবং বিদেশে পাচার করতে না পারে, সে জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান। ৭. জল, স্থল ও আকাশথে অবৈধ উপায়ে কেউ যাতে সোনার বার বা অলংকার আনতে না পারে, সে জন্য কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা  করা।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর