দেশের বাজারে আরেক দফা বেড়েছে চাল, তেল, আটা, ময়দা ও চিনির দাম। এতে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে ভোক্তাদের মাঝে। কবে নাগাদ দাম বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের আওতায় আসবে সেটা কেউ বলতে পারছে না। বাজার দর নিয়ে বেশি বিপাকে আছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
চাল ব্যবসায়ীদের হিসাবে, সপ্তাহের ব্যবধানে মোটাসহ সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। সরকারের বিপণন সংস্থা টিসিবির হিসাবেও চিকন চালের দাম কেজিতে ৩ টাকা আর মাঝারি ও মোটা চালের কেজিতে ২ টাকা বেড়েছে। চিকন চাল ৬৮ টাকা, মাঝারি চাল ৫৬ টাকা এবং মোটা চাল ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে টিসিবির এ হিসাবের চেয়ে ৫-৭ টাকা বেশি দরে চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা।
এদিকে প্যাকেট আটা ও ময়দার দর কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকা। প্যাকেট আটা ৭০ টাকা ও ময়দা ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা আটাও বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি। টিসিবির হিসাবে গত সপ্তাহের ৭২ টাকার ময়দা ৭৫ টাকা আর ৮০ টাকার প্যাকেট ময়দা ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এ সপ্তাহে।
বাজারের তথ্য বলছে, চাল-আটার সঙ্গে বেড়েছে শিশুখাদ্য গুঁড়ো দুধের দামও। ৭৫০ টাকার ডানো গুঁড়ো দুধ ৮২০ টাকা, ৭৫০ টাকার ডিপ্লোমা গুঁড়ো দুধ ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে দাম বেড়েছে অন্যান্য ব্যাণ্ডের গুঁড়ো দুধেরও ।
সয়াবিন তেল ও চিনির দাম বেড়েছে গত ১৭ নভেম্বর থেকে, বোতলজাতে সয়াবিনে ১২ টাকা ও চিনির কেজিতেও ১২ টাকা। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৯০ আর প্যাকেটজাত চিনির কেজি ১০৭ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। বাজারে তেলটা নির্ধারিত দামের পাওয়া গেলেও চিনি কিনতে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের । সরবরাহ সংকটের অযুহাতে বাজারভেদে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এ পণ্য। ওদিকে কাঁচাবাজারে এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শীতকালীন সবজি। বারো মাসই পাওয়া যায় এমন সবজিও খুব একটা সস্তায় মিলছে না।
এমকে