৩৬ বছর পরে আবার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিল মরক্কো। কানাডাকে ২-১ গোলে হারাল তারা। এর আগে ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে গিয়েছিল মরক্কো। সেটাই ছিল প্রথম ও শেষবার। কাতারে আবার একবার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিল আফ্রিকার দেশ।
এ বারের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে বেলজিয়ামকে হারিয়ে চমক দিয়েছিল মরক্কো। সেই ম্যাচেই তাদের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়ে যায়। শেষ ম্যাচে কানাডাকে হারাতে হত তাদের। সেটাই করলেন ইউসুফ এননেসিরি, হাকিম জিয়েচরা।
কানাডা এবারের বিশ্বকাপে দ্রুত গতিতে ফুটবল খেলেছে। কিন্তু দলের বেশির ভাগ ফুটবলার তরুণ হওয়ায় সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হচ্ছিল তারা। মরক্কোর বিরুদ্ধেও সেটাই দেখা গেল।
খেলার শুরুতেই আক্রমণের ঝড় তোলে মরক্কো। ৪ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে দেন মরক্কোর অন্যতম সেরা ফুটবলার হাকিম জিয়েচ। শুরুতে গোল খেয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় কানাডা। তাদের রক্ষণভাগ এলোমলো হয়ে যায়। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে একের পর এক আক্রমণ তুলে আনে আফ্রিকার দেশ। ২৩ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় মরক্কো। এবার গোল করেন ইউসুফ।
প্রথমার্ধে আরও গোল করার চেষ্টা করে মরক্কো। কিন্তু সফল হয়নি তারা। অন্যদিকে প্রতি আক্রমণ থেকে গোল করার চেষ্টা করছিল কানাডা। ৪০ মিনিটের মাথায় কানাডার ফুটবলারের শট মরক্কোর ডিফেন্ডার আগুয়েরোর পায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়। বলের দিক পরিবর্তন হয়ে যাওয়ায় কিছু করার ছিল না মরক্কোর গোলরক্ষক বোনোর।
দ্বিতীয়ার্ধে একটু রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে মরক্কো। গোল করার থেকে গোল বাঁচানোর দিকে বেশি নজর দেয় তারা। তার সুযোগ কানাডা বেশ কয়েকটি আক্রমণ তুলে আনে। কিন্তু মরক্কোর রক্ষণভাগকে ভাঙা যায়নি। নিজেদের ১০০ শতাংশ দিয়ে খেললেন হাকিমরা। তার ফলও পেলেন। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে জিতে মাঠ ছাড়েন তারা।
কানাডার বিরুদ্ধে জয়ের ফলে মোট ৭ পয়েন্ট অর্জন করে মরক্কো। গ্রুপ পর্বের শীর্ষে থেকে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেল দলটি।