ইতিহাস গড়ে বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় উঠে গেল জাপান। গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জার্মানিকে হারানোর পর আকস্মিক ঘটনা বলে ধরে নিয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু নিজদেরে তৃতীয় ম্যাচে শক্তিশলী স্পেনকে হারিয়ে নিজেদের সক্ষমতা আরেকবার প্রমাণ করল জাপান। এদিন গোল করেন রিৎসু দোয়ান ও আও তানাকা। স্পেনের একমাত্র গোল আলভারো মোরাতার।
বৃহস্পতিবার রাতে মাঠে নামে দুদল। প্রথমার্ধে স্পেনের পাসিং ফুটবলে কিছুটা পিছিয়ে যায় জাপান। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে ঘুরে দাঁড়ায় জাপান। নিজেদের সমর্থের প্রামন দেয় এশিয়ার এ দেশটি।
প্রথমার্ধে চ্যাম্পিয়নদের মতোই খেলা শুরু করে স্পেন। পাত্তা পাচ্ছিল না জাপান। ম্যাচের ১১ মিনিটে জাপানের গোলকিপারকে ফাঁকি দিতে সক্ষম হয় স্পেনের আলভারো মোরাতা। বাঁ দিক থেকে নিখুঁত ক্রস ভাসিয়েছিলেন সেজার অ্যাজপিলিকুয়েতা। মাথা ছুঁইয়ে এবারের প্রতিযোগিতায় তৃতীয় গোল করেন মোরাতা। এক গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর স্পেনের দাপট আরও বেশি করে টের পায় জাপান। মাঝমাঠে আরও বেশি পাস খেলতে থাকেন রদ্রি, পাউ তোরেসরা। ২৬ মিনিটে আরেকটি সুযোগ পায় স্পেন। মোরাতার থেকে বল পেয়ে শট নিয়েছিলেন দানি ওলমো। তা বাইরে যায়। তবে মোরাতা অফসাইডে থাকার কারণে গোল হলেও বাতিল হয়ে যেত।
দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের গুছিয়ে নেয় জাপান। খেলার ছন্দে ফেরে দলটি। প্রেসিং ফুটবল খেলতে শুরু করে জাপান। প্রতিপক্ষের আচমকা তেড়েফুঁড়ে ওঠা খেলার বিরুদ্ধে মানিয়ে নিতে পারেনি স্পেন। দূ্র্বল রক্ষণের সুযোগ নিয়ে গোল করেন দোয়ান। বক্সের বাইরে বল পান তিনি। সামান্য ভেতরে ঢুকে বাঁ পায়ে জোরালো শট নেন। স্পেনের গোলকিপার উনাই সিমন বাঁ দিকে ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি।
ঠিক ২ মিনিট ২২ সেকেন্ডের মধ্যে দ্বিতীয় গোল করে জাপান। এ বার গোল করেন আতোমু তানাকা। এ ক্ষেত্রেও ভূমিকা নেন সেই দোয়ান। বাঁ দিকের প্রায় গোললাইন থেকে ক্রস করেন তিনি। স্পেনের গোলকিপার নিজের জায়গায় ছিলেন না। চলতি বলে পা ঠেকিয়ে গোল করেন তানাকা।
এই গোল নিয়ে অবশ্য বিতর্কও তৈরি হয়েছে। অনেকেরই দাবি, দোয়ান ক্রস করার সময় বল গোললাইন পেরিয়ে গিয়েছিল। এমনকি সমাজমাধ্যমে সেই ছবি ছড়িয়ে পড়ে। তবে যে কোণ থেকে সেই ছবিগুলি তোলা হয়েছে, তা ‘ভার’ দেখে না। গোললাইনের সোজাসুজি যে ক্যামেরা বসানো রয়েছে, সেই ছবিই তারা দেখে। সেখানে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, দোয়ানের ক্রসের সময় বলের কিছুটা অংশ গোললাইন স্পর্শ করে ছিল।
এর পরে ম্যাচে ফেরার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল স্পেন। জাপানের বক্সে একের পর এক আক্রমণ তুলে আনছিল তারা।