ভূমিকম্পে উদ্ধারকাজ করবে ইঁদুর

০২ ডিসেম্বর ২০২২

সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় ভূমিকম্পে। এর অন্যতম কারণ আগে থেকে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দিতে পারেন না আবহাওয়াবীদরা। ভূমিকম্পের কারণে ভেঙে পড়ে বহুতল ভবন। কোনো বহুতল ভেঙে পড়লে তার ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকা পড়েন বহু মানুষ। সঠিক সময়ে উদ্ধার করা না হলে প্রাণও হারান অনেকে। এ সমস্যার সমাধান নিয়ে এসেছে বেলজিয়ামের একটি সংস্থা ‘আপোপো’। কীভাবে ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে তাড়াতাড়ি আটকদের উদ্ধার করা যায়, তার সমাধান বের করার চেষ্টা করা হয়েছে। এ কাজে ইঁদুরদের বেছে নিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

ভূমিকম্পের পর যে পরিস্থিতি তৈরি হয়, তার কৃত্রিম আবহ তৈরি করে ইঁদুরদের প্রশিক্ষণও দিচ্ছেন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরা। এর সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে প্রযুক্তিও। এইন্ডহোভেন ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির এক ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ইঁদুরদের জন্য একটি পিঠের ব্যাগ তৈরি করছেন। সেই ব্যাগে লাগানো থাকবে একটি ভিডিও ক্যামেরা, মাইক্রোফোন ও লোকেশন ট্রান্সমিটার। প্রাথমিকভাবে এ ব্যাগটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘র‌্যাট প্যাক’। ওই ইঞ্জিনিয়ার জানান, এ ব্যাগটির প্রোটোটাইপ নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সফলও হয়েছেন তিনি। ধ্বংসস্তূপের তলায় যদি কেউ আটকা পড়েন, তবে, ক্যামেরা ও মাইক্রোফোনের মাধ্যমে সরাসরি অন্যপ্রান্ত থেকে দেখা যাবে। কোন জায়গায় ব্যক্তিটি আটকে রয়েছেন, তার সঠিক জায়গাও অন্যপ্রান্তে থাকা ল্যাপটপে ধরা পড়বে।

 

প্রাথমিকভাবে সফল হলেও এখনও অনেক কাজ বাকি বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। আকার ও ওজন আরও কম করতে হবে বলে মনে করছেন তারা। ব্যাগটি যত হালকা হবে, পিঠে সেই ব্যাগ নিয়ে ইঁদুরের চলাফেরা করতে তত সুবিধা হবে। ব্যাগটি ইঁদুরের গায়ে নিওপ্রিন ভেস্টের মাধ্যমে লাগানো থাকবে বলে জানান তিনি। সাধারণত, স্কুবা ডাইভ করার সময় এই নিওপ্রিন দিয়েই স্কুবা স্যুট তৈরি করা হয়।

 

এ প্রশিক্ষণমূলক গবেষণার নেতৃত্বে রয়েছেন ডনা কিন। ডনা জানিয়েছেন, ইঁদুররা সব রকমের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে। স্বভাবে কৌতূহলীও তারা। ভূমিকম্পের পর ধ্বংসাবশেষের ভিতর পর্যন্ত প্রবেশ করতেও সক্ষম তারা। তাই উদ্ধারকাজের জন্য ইঁদুরই উপযুক্ত।


মন্তব্য
জেলার খবর