বৈধপথে বেশি খরচে বাড়ছে হুন্ডি

০৩ ডিসেম্বর ২০২২

দেশে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে খরচ বেশি। আর খোলাবাজারের চেয়ে প্রাতিষ্ঠানিক চ্যানেলে বিনিময় হারও কম। ফলে অবৈধ চ্যানেলে (হুন্ডি) আসছে বেশি রেমিট্যান্স। আর বৈধ চ্যানেলে কমে গেছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স  কম আসার আরেক কারণ প্রাতিষ্ঠানিক চ্যানেলের অপর্যাপ্ততা। রয়েছে বৈশ্বিক মন্দা ও দক্ষ শ্রমিকের অভাবও। এ সব কারণে গত বছরের চেয়ে চলতি বছরে ১শ’ কোটি ডলার কমবে রেমিট্যান্স। রেমিট্যান্স কমলে একদিকে  ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে বৈদেশিক মুদ্রার স্থিতিপত্রে, অন্যদিকে  অস্থিরতা বাড়তে পারে মুদ্রা বাজারেও। রেমিট্যান্স কম আসা সংক্রান্ত  এ তথ্য পাওয়া গেছে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে।

প্রাপ্ত তথ্য বলেছে,  এ বছর রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ ২ হাজার ১০০ কোটি ডলার হতে পারে। হুণ্ডিতে রেমিট্যান্স আসায় চলতি বছরে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমতে পারে ৭ শতাংশ। গত বছর রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ২০০ কোটি ডলার।  বিশ্বব্যাপী পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে বৈদেশিক বাণিজ্যে ঘাটতি বাড়ায় বাংলাদেশের বৈদেশিক রিজার্ভ কমে গেছে।

এক্সচেঞ্জ হাউস বা ব্যাংকগুলো নানা ফি আদায় করায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচ বেশি পড়ে। বৈধ চ্যানেল- ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাতে খরচ পড়ে গড়ে ১১ শতাংশের মতো, পোস্ট অফিসের মাধ্যমে সাড়ে ৬ শতাংশ, মানি ট্রান্সফার কোম্পানির মাধ্যমে ৫ দশমিক ২ শতাংশ এবং মোবাইল অপারেটরের মাধ্যমে সাড়ে ৩ শতাংশ। কিন্তু রেমিট্যান্স পাঠানো ক্ষেত্রে মোবাইল অপারেটররা এখনো বৈধতা পায়নি। আর কাঠামো না থাকায় পোস্ট অফিসের মাধ্যমে রেমিট্যান্স খুব একটা আসে না। এ ছাড়া রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধাও সীমিত। ফলে হুণ্ডিতে রেমিট্যান্স আসছে বেশি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে। এ সব দেশে মন্দার আঘাত কম। কিন্তু বাংলাদেশের প্রাতিষ্ঠানিক চাকরিজীবী ও উচ্চ আয়ের কর্মী কম। কর্মীদের একটা অংশ অবৈধ হওয়ায় বা স্থায়ী কাজের সংস্থান না থাকায় রেমিট্যান্স কমছে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রেমিট্যান্স অঞ্চল ইউরোপের দেশগুলোতে মন্দা থাকায় সেখান থেকে আসা রেমিট্যান্স প্রবাহ কমছে।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর