বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে জয় দরকার ছিল সার্বিয়া-সুইজারল্যান্ড দু’টি দলেরই। শুরু থেকে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে দুদল। জালে প্রথম ম্যাগোল করে সুইজারল্যান্ড। দলের হয়ে প্রথম গোল করেন জাদরান শাকিরি। ২০ মিনিটের মাথায় বক্সের মধ্যে বল পান তিনি। বাঁ-পায়ের শটে সার্বিয়ার গোলরক্ষককে পরাস্ত করে বল জালে জড়িয়ে দেন।
গোল খেয়ে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় সার্বিয়া। তার ফলও মেলে। ২৭ মিনিটের মাথায় সমতা ফেরান সার্বিয়ার স্ট্রাইকার আলেকজান্ডার মিত্রোভিচ। বক্সের মধ্যে থেকে হেডে গোল করেন তিনি। ৩৫ মিনিটের মাথায় খেলায় এগিয়ে যায় সার্বিয়া। এবার তাদের হয়ে গোল করেন ভ্লাহোভিচ। বাঁ-পায়ের শটে সুইজারল্যান্ডের গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি। কিছুটা চাপে পড়ে যায় সুইজারল্যান্ড।
বিরতির ঠিক আগে সুইসদের রক্ষাকর্তা হয়ে ওঠেন এমবোলো। সার্বিয়ার রক্ষণভাগের দূর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে গোল করে ২-২ করেন তিনি। ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে এমবোলোর গোলেই জিতেছিল সুইজারল্যান্ড। আরও একবার তাদের হয়ে গোল করলেন ক্যামেরুনে জন্ম হওয়া এ স্ট্রাইকার।
প্রথমার্ধের খেলা দেখে বোঝা যাচ্ছিল, দ্বিতীয়ার্ধে আরও গোল আসতে চলেছে। সেটাই হলো। খেলা শুরুর তিন মিনিটের মাথায় এ বার এগিয়ে যায় সুইৎজারল্যান্ড। গোল করেন রেমো ফ্রুয়েলার।
দ্বিতীয় বারের এগিয়ে যাওয়ার পরে রক্ষণভাগ আরও মজবুত করে দেয় সুইজারল্যান্ড। সার্বিয়া অনেক চেষ্টা করলেও সেই রক্ষণ ভেদ করতে পারেনি সার্বিয়া।