রেমিট্যান্সের পালে প্রবাহ বৃদ্ধির হাওয়া

০৪ এপ্রিল ২০২২

আট মাসের মধ্যে টানা পাঁচ মাস পর, আর মাঝের এক মাস শেষে দেশে রেমিট্যান্সের পালে প্রবাহ বৃদ্ধির হাওয়া লেগেছে। এ সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে গত মার্চে। আর আগের ফেব্রুয়ারি মাসের চেয়ে ২৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেশি রেমিট্যান্স আসে এ মাসে। যদিও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শতাংশের হিসাবে এটা প্রায় ৩ কম। বাংলাদশ ব্যাংকের হিসাব বলছে এ কথা।

দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে রেমিট্যান্স। বাংলাদেশের বাইরে বিভিন্ন দেশে থাকা প্রায় সোয়া কোটি বাংলাদেশি রেমিট্যান্স পাঠান। দেশের জিডিপিতে রেমিট্যান্সের অবদান সব মিলে ১২ শতাংশের মতো। রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে প্রথমে ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে ২ শতাংশ ও পরবর্তীতে গত জানুয়ারি থেকে ২ দশমিক ৫ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা দিয়ে আসছে সরকার।

তথ্য বলছে, মার্চ মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১৮৫ কোটি ৯৯ লাখ (১.৮৬ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন দেশে। গত বছরের মার্চে এসেছিল ১৯১ কোটি ডলার। এর আগে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে গত জুলাইয়ে, পরিমাণে ১৮৭ কোটি ১৪ লাখ ডলার। পরবর্তী টানা পাঁচ মাস কমে রেমিট্যান্স প্রবাহ। এরপর ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে বাড়লেও ফের হোঁচট খায় গত ফেব্রুয়ারি মাসে। ফেব্রুয়ারিতে আসে ১৪৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে এসেছিল যথাক্রমে ১৬৩ কোটি ৬ লাখ ও ১৭০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। গত জুলাই মাসের পর আগস্টে ১৮১ কোটি, সেপ্টেম্বরে ১৭২ কোটি ৬২ লাখ, অক্টোবরে ১৬৪ কোটি ৭০ লাখ আর নভেম্বরে ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলার আসে।

এদিকে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২)  ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) এখনো নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিতেই আছে এ খাত। এ ৯ মাসে এসেছে মোট ১ হাজার ৫৩০ কোটি (১৫.৩০ বিলিয়ন) ডলার। আগের অর্থবছরে এ সময়ে এসেছিল ১ হাজার ৮৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার (১৮.৫৯ বিলিয়ন) ডলার। এ হিসাবে রেমিট্যান্স কমেছে প্রায় ১৮ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশে ২০২০ সালের মার্চে করোনার সংক্রমণ শুরুর পর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এ খাতে। ওই বছরের এপ্রিলে আসে মাত্র ১০৯ কোটি ২৯ লাখ ডলার। এরপর করোনার তাণ্ডবের মধ্যে গত অর্থবছরের (২০২০-২১ ) পুরোটাতেই একের পর এক  প্রবাহ বৃদ্ধিতে রেকর্ড গড়ে রেমিট্যান্স। অতীতের সব রেকর্ড ডেঙিয়ে ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার আসে সে বছর। শতাংশের হিসাবে এ অঙ্ক তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ বেশি।   

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর