কমছে মূল্যস্ফীতি

০৬ ডিসেম্বর ২০২২

বাজারে অনেক দিনই হচ্ছে নিত্যসহ অন্যান্য পণ্যের দাম চড়া। এমন পরিস্থতিতেও কমছে মূল্যস্ফীতি। পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে আগের মাসের চেয়ে কমে নভেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৮.৮৫ শতাংশে। আর খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৮.১৪ শতাংশে। মূল্যস্ফীতি সম্পর্কে এ তথ্য জানিয়েছেন   পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। সোমবার (৫ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা নগরে তার দফতরে মূল্যস্ফীতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি আরও কমবে। মূল্যস্ফীতি কমার মূল কারণ হচ্ছে ব্যবস্থাপনা। এ ক্ষেত্রে কোন কোন পণ্যের কর ছাড় দেওয়া হয়েছে।  টিসিবিরি পণ্যে বিক্রির কারণে মূল্যস্ফীতি কমেছে। তিনি জানান, বর্তমানে ৪২২টি পণ্যের উপর মূল্যস্ফীতি যাচাই করা হয়। এখন সেগুলোও ফের বিবেচনা করা হবে। কারণ এর মধ্যে সোনাও আছে, সোনার দাম বাড়লে মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব পড়ে। এছাড়া মাখন ও কফিসহ এ রকম অনেক পণ্য আছে, এগুলোও সংশোধন করা হবে- যোগ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

পরিকল্পনামন্ত্রী যে তথ্য দিয়েছেন, তাতে গত তিন মাসে ধারাবহিকভাবে মূল্যস্ফীতি হেট্রিক হয়েছে। অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৮.৯১ শতাংশ, খাদ্যপণ্যে ছিল ৮.৫০ শতাংশ। নভেম্বরে সার্বিক ও খাদ্যপণ্যে কমলেও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের ক্ষেত্রে হয়েছে উল্টো। এ খাতে অক্টোবরে ৯.৫৮ শতাংশ থাকলেও নভেম্বরে বেড়ে ৯.৯৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে মূল্যস্ফীতি। একই সঙ্গে নভেম্বরে মজুরি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬.৯৮ শতাংশে, অক্টোবরে ছিল ৬.৯১ শতাংশ।

সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে গ্রামে ৮.৯৪ আর শহরে ৮.৭০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে গ্রামে ৮.২৩, শহরে ৭.৯৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে শহরে ১০.৩১ শতাংশে, শহরে ৯.৫৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মজুরি বেড়ে কৃষিখাতে ৬.৯০ শতাংশে, শিল্পখাতে ৭.০৬ শতাংশে, সেবা খাতে ৭.১৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী আরো জানান, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়ায় দেশে এর প্রভাব পড়বে। তাছাড়া ধান ও সবজি উৎপাদন ভাল হয়েছে। জ্বালানি কিনে বিক্রি করায় সামাজিক ও বাস্তব কারণে দাম বাড়াতে হয় বলেও জানান মন্ত্রী।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর