বর্ষা ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে ব্যবস্থা করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

০৪ এপ্রিল ২০২২

বর্ষা ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, এতে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরতা কমে যাবে। বাংলাদেশ ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ হওয়ায় বাংলাদেশের জন্য ভূগর্ভস্থ পানির বেশি ব্যবহার ক্ষতিকর। বাংলাদেশে মাটির নিচে শিলা, তার নিচে পানির আরো বিশাল স্তর থাকায় এ পানি আমাদের রক্ষা করছে।  সোমবার (৪ এপ্রিল)  রাজধানী ঢাকার গ্রিন রোডের পানি ভবনে  এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান হয়, সভাপতিত্ব করেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।   

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পানিসম্পদ অপচয় করলে কোনো সম্পদই শেষ পর্যন্ত থাকে না। এ অমূল্য সম্পদটা কীভাবে সংরক্ষণ করে ব্যবহার করা যায়;  ভবিষ্যৎ বংশধররা ব্যবহার করতে পারবে, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। তিনি বলেন, পানির অপচয়টা বন্ধ করতে হবে। সেটা নির্মাণ, গৃহস্থালি, গাড়ি ধোয়া, যে কাজেই হোক- সব ক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, বৃষ্টির পানি যাতে ভূগর্ভস্থে যেতে পারে সেদিকে দৃষ্টি রেখেই পরিকল্পনা নিতে হবে। বৃষ্টির পানি একেবারে আন্ডারগ্রাউন্ডে বা একেবারে নদীতে পড়বে; সেটা না। আশপাশের জলাধারে সংরক্ষণ করার দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। এ পানিসম্পদকে রক্ষা করা একান্তভাবে প্রয়োজন।  প্রধানমন্ত্রী জানান, ভূগর্ভস্থ পানি যত কম ব্যবহার ও ভূ-উপরিস্থ পানি যত বেশি ব্যবহার করা যায়, সেদিকে লক্ষ রেখে পরিকল্পনা নিচ্ছে সরকার।

নগরায়ণ ও বাসস্থান নির্মাণের জন্য দুটি জিনিসের প্রতি লক্ষ রাখতে হবে। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখা,আরেকটা হচ্ছে জলাধার থাকা- যোগ করেন শেখ হাসিনা।

ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার সীমিতকরণে তার সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকায় নদীর পানি পরিশুদ্ধ করে সরবরাহ করা শুরু করা হয়েছে।  ঠিক সেভাবে জেলা ও উপজেলায় যেখানে লাইনের মাধ্যমে সুপেয় পানি দেওয়া হচ্ছে, সেখানেও নদীর পানি পরিশুদ্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।  তাছাড়া দেশে বন্যায় অনেক সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ জন্য ড্রেজিংয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেটা শুধু নদীর নাব্যই বাড়াবে না, নৌপথগুলো সচল হবে। স্বল্পমূল্যে পণ্য পরিবহন হবে।  

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর