ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিতে ফ্রান্স

১১ ডিসেম্বর ২০২২

ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ফ্রাঞ্চ। শনিবার রাত ১টায় কাতারের আল বায়াত স্টেডিয়ামে সেমিতে ওঠার লড়াইয়ে নামে দুদল। শুরু থেকেই তীব্র লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছিল দুদল। তবে প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। দ্বিতীয়ার্ধে ইংল্যান্ড সমতায় ফিরলেও শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে জয় তুলে নেয় ফ্রান্স। তাতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয় ফরাসিদের।

 

ফ্রান্স-ইংল্যান্ড ম্যাচে নজর ছিল কিলিয়ান এমবাপ্পের দিকে। এমবাপ্পেকে রুখতে কাইল ওয়াকারকে রেখেছিলেন ইংরেজ কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। এমবাপ্পে নিজে গোল করতে পারলেন না ঠিকই। কিন্তু প্রথম গোলের ক্ষেত্রেই তিনিই অবদান রাখলেন। সারা ম্যাচে এমবাপ্পে একাধিক বার মার্কারকে বোকা বানালেন। গোল না করেও নায়ক হয়ে থাকলেন তিনিই।

 

ম্যাচের ১৭ মিনিটেই গোল পায় ফ্রাঞ্চ। দূরপাল্লার শটে চোখধাঁধানো গোল করেন অরেলিয়ে চুয়ামেনি। দুর্দান্ত প্রতি আক্রমণের ফল পায় ফ্রান্স। ডেক্লান রাইসকে টপকে বল নিয়ে এগিয়ে যান কিলিয়ান এমবাপ্পে। তার থেকে বল পেয়ে গ্রিজম্যান পাস দেন চুয়ামেনিকে। বক্সের বেশ খানিকটা বাইরে থেকে নীচু শটে গোল করেন রিয়াল মাদ্রিদের এ ফুটবলার।

 

৫২ মিনিটে ডি-বক্সের মধ্যেই ইংল্যান্ড স্ট্রাইকার বুকায়ো সাকাকে ফাউল করে বসেন গোল করা ফরাসি মিডফিল্ডার অরেলিয়ান সেই চৌমেনিই। তাতে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি। গোলের সুযোগ মিস করেননি দলপতি হ্যারি কেইন। খেলা ফিরেছিল ১-১ গোল সমতায়। প্রথমার্ধে আর গোল না হওয়ায় ১-১ গোলের ড্র দিয়ে বিরতিতে যায় দুদল।

 

পরের অর্ধে খেলতে নেমে ব্যবধান বাড়ানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ফ্রাঞ্চ। অপর প্রান্ত থেকে আবার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন এমবাপ্পে। তখনও ব্যর্থ হয়েছিলেন সতীর্থরা। মধ্যমাঠ থেকে নিজেই বল নিয়ে ইংল্যান্ডের বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন তারকা এমবাপ্পে। দেখিয়েছিলেন গতির খেলা এবং ভেলকি। ইংলিশ রক্ষণভাগ পরাস্ত করে দিয়েছিলেন ক্রস। কিন্তু তিন ফরাসি স্ট্রাইকার গিরুদ, ডেম্বেলে কিংবা গ্রিজম্যান কেউই এমবাপ্পের ক্রসে সাড়া দিতে পারেননি।

 

ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল ইংল্যান্ড। ৬৯ মিনিটে হেন্ডারসনের ক্রসে মাথা দিয়েছিলেন হ্যারি ম্যাগুয়ার। দুর্ভাগ্য ইংল্যান্ডের। ম্যাগুয়ারের হেড থেকে গোলের পাশ ঘেঁষে বল চলে যায় সীমানার বাইরে। ৭১ মিনিটেও মন্দ কপালের সাক্ষী হতে হয়েছিল হ্যারি কেইনদের। লুক শয়ের ক্রসে পা দিয়েছিলেন বুকায়ো সাকা। তবে বল চলে যায় গোলের বাইরে।

 

৭৬ মিনিটে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। প্রথমে অলিভিয়ার গিরুদের শট গোল থেকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ইংলিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ড। তাতে এসেছিল কর্নারের সুযোগ। কর্নার থেকে কয়েক পা ঘুরে বল গিয়েছিল গিরুদের কাছেই। হেড থেকে তিনি বাড়িয়ে নিয়েছিলেন ব্যবধান। ফলে ২-১ গোলে লিড পায় ফ্রান্স।

 

ম্যাচের পরবর্তী সময়ে আর গোল না হওয়ায় ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফ্রাঞ্চ। ১৪ ডিসেম্বর রাত ১টায় কাতারের আল বায়াত স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় ম্যাচে মরক্কোর মুখোমুখি হবে ফ্রান্স।


মন্তব্য
জেলার খবর