জোড়া সেঞ্চুরির ম্যাচে চট্টগ্রামের জয়

১০ জানুয়ারী ২০২৩

একই ম্যাচে দুইটি শতক দেখল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। বিপিএলের নবম আসরে প্রথমে খুলনা টাইগার্সের হয়ে শতক হাঁকান আজম খান। ১০৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। অপরদিকে দ্বিতীয় শতক হাঁকান চট্টগ্রামের উসমান খান। ১০৩ রান করে তিনিও অপরাজিত ছিলেন।

 

সোমবার প্রথমে ব্যাট করে আজম খানের সেঞ্চুরিতে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ১৭৮ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় খুলনা। এ রান করতে গিয়ে ৫ উইকেট হারায় তারা। সর্বোচ্চ ১০৯ রান আসে আজম খানের ব্যাট থেকে। ৫৭ বলে ৯ চার ও ৮ ছক্কার মারে সাজানো ছিল তা ইনিংসটি। তবে শুরুটা ভালো করতে পারেনি খুলনা। ১২ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে কোণঠসা হয়ে পড়ে। দলীয় ৫ রানে শুভাগত হোমের বলে মৃত্যুঞ্জয়ের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন শার্জিল খান। তার দেখানো পথে হেঁটে দলীয় ১২ রানে আবু জায়েদের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন হাবিবুর রহমান।

 

তাদের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন ওপেনার তামিম ইকবাল ও আজম খান। ব্যক্তিগত ৪০ রানে বিজয়কান্তের বলে তামিম আউট হন। এর আগে আজম খানের সাথে ৯২ রানের অনবদ্য জুটি গড়েন। তামিম আউট হলেও ক্রিজ আঁকড়ে থাকেন আজম। বোলারদের ওপর রীতিমতো চড়াও হন। ৩৩ বলে অর্ধশতক করেন। এরপরের অর্ধশতক করেন মাত্র ২৪ বলে।

 

জবাবে ব্যাট করতে নেমে খুব সহজেই জয়ের বন্দরে পৌছে যায় চট্টগ্রাম। রাতের শিশিরের কারণে মিরপুরের উইকেট অনেকটাই ব্যাটারদের হয়ে কথা বলে। তাই আজমের সেঞ্চুরিকে সফল পরিণতি দিতে পারলেন না খুলনার বোলাররা। তাকে ম্লান করে শেষ হাসি হাসেন তারই স্বদেশী উসমান খান। ডানহাতি এ ব্যাটারের সেঞ্চুরিতে মাত্র ১টি উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

 

১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে সাইফুদ্দিনকে ছক্কা হাঁকিয়ে ৫৫ বলেই তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে ফেলেন উসমান। পরে আরও ৩টি বল মোকাবিলা করে অপরাজিত থাকেন ১০৩ রানে। তার এ মারকাটারি ইনিংসে ছিলো ১০টি চারের সঙ্গে পাঁচটি ছক্কার মার।

 

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

 

খুলনা : ১৭৮/৫ (আজম খান ১০৯*) ও চট্টগ্রাম ১৭৯/১ (উসমান খান ১০৩*)।


মন্তব্য
জেলার খবর