ভোলায় জলডাকাত আতঙ্কে জেলেরা

২১ ডিসেম্বর ২০২২

কামরুজ্জামান শাহীন,ভোলা:

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার মেঘনা নদীতে জলডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করছে  জেলেদের মাঝে। গত এক মাসে অন্তত ৩০ জেলে অপহরণের ঘটনায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। ডাকাতের  ভয়ে অনেক জেলে নদীতে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন বলে জেলে

সমিতি সূত্রে জানা যায়। এদিকে জলডাকাতদের ভয়ে থানায় অভিযোগ করতেও সাহস পাচ্ছেন না ভুক্ত জেলের পরিবার।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি শীত মৌসুমের শুরুতেই মেঘনা নদীতে হঠাৎ জলডাকাতদের উৎপাত দেখা দিয়েছে। বিষয়টি প্রশাসনের কাছে না জানানোর জন্য হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। জেলেরা বলছেন, মাঝেমধ্যে সন্ধ্যার পর থেকেই হানা দেয় জলডাকাতরা।  অপহরণ করে মুক্তিপণ চায়।  স্থানীয় জেলে আরিফ হোসেন মাঝি ও মিরাজ মাঝি মেঘনা নদীতে রাতে মাছ শিকার করতে গিয়ে একাধিকবার জলডাকাতের কবলে পড়েনছেন। ডাকাতরা তাদের অপহরণ করে নিয়ে যান। পরে পরিবার সদস্যদের কাছে মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণ হিসেবে মোটা টাকা  দিয়ে তাদের ছাড়িয়ে আনেন পরিবারের সদস্যরা।

জেলে আরিফের বাবা আলমগীর মাঝি ও মা হনুফা বেগম বলেন, ডাকাতদের ভয়ে অপহরণের বিষয়টি প্রশাসনকে জানাইনি। ছেলেকে নদীতে মাছ শিকার করতে যেতে দেই না। একই এলাকার রাসেল মাঝি ও ইসমাইল জানান, রাতে নদীতে বেশি মাছ শিকার করা যায়। কিন্তু জলডাকাতের ভয়ে রাতের বেলা নদীতে নির্বিঘ্নে মাছ শিকার করতে পারেন না তারা। এতে সংসার চালাতে তাদের খুবই কষ্ট হচ্ছে।

জুমদ্দিন স্লুইস ঘাটের আড়ৎদার মনোয়ার হোসেন ও শাহে আলম জানান, জলডাকাতদের ভয়ে আড়তের অনেক জেলে নদীতে মাছ শিকারে যাচ্ছে না। এতে তাদের ব্যবসা বানিজ্যে সমস্যা দেখা দিয়েছে। নদীতে কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশের টহল জোরদার অপরিহার্য।

কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লে. এম হাসান মেহেদী বলেন, জেলেরা যাতে নদীতে নিরাপদে মাছ শিকার করতে পারেন, সে জন্য কোস্টগার্ড থেকে টহল জোরদার করা হয়েছে। সম্প্রতি ভোলার চর এলাকা থেকে মেঘনা নদীর দুর্র্ধষ জলডাকাত আবদুল্লাহ বাহিনীর প্রধানসহ চার ডাকাতকে পিস্তল, তাজা গুলি ও দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে।

 

কামরুজ্জামান শাহীন/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর