ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদান ও ন্যাটোর সদস্যপদ চাওয়া থেকে বিরত না হওয়ায় ইউক্রেনের ওপর হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। এ বছরের ২৪ ফেব্রুংয়ারি থেকে এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশ দুটির একলাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। কবে নাগাদ এ যুদ্ধ থামবে তা কেউ জানে না। দীর্ঘ অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন পার করছে সেখানকার জনগণ।
এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সফরে গিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি এ সপ্তায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে একটি ‘মারাত্মক ভুল’ করেছেন বলে সতর্ক করেছে রাশিয়া। খবর নিউজ উইকের। রাশিয়ার স্টেট ডুমা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য দিমিত্রি বেলিক ওয়াশিংটনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সফরের প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে জেলেনস্কি মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। ভাষণে জেলেনস্কি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে তার দেশকে দীর্ঘ মেয়াদে অর্থ–অস্ত্র সহায়তা দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ ও সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘এটা সহায়তা নয়, বরং বিশ্বজুড়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত ও গণতন্ত্র সমুন্নত রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ।’
এর আগে জেলেনস্কি হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বাইডেনকে ‘একজন সাহসী প্রেসিডেন্ট’ উল্লেখ করে জেলেনস্কি বলেন, ‘একটি স্বাধীন দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি অবশ্যই শান্তি চাই। তবে নিজ দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা বিসর্জন দিয়ে নয়।’
জেলেনস্কির ওয়াশিংটন সফরের সময় মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইউক্রেনের জন্য ১৮৫ কোটি ডলারের নতুন সহায়তা প্যাকেজের ঘোষণা দেওয়া হয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানান, এর আওতায় অত্যাধুনিক প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
এদিকে, দিমিত্রি বেলিক কিয়েভকে সতর্ক করে বলেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউক্রেনের এই জোট জেলেনস্কির প্রশাসনকে খারাপভাবে শেষ করে দেবে। এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমস্ত মিত্রদের বন্ধুত্ব খুব খারাপভাবে শেষ হয়েছিল, সাইডলাইনে কিংবা ইতিহাসের ডাস্টবিনে।
‘এটি কয়েকশ বছর ধরে চলছে,’ দিমিত্রি বেলিক বলেন, ‘আমেরিকানদের শুধুমাত্র একটি মিত্র আছে - সেটি নিজেরাই এবং বাকি সবই দ্বিতীয় শ্রেণিভুক্ত।’