চলমান শৈত্যপ্রবাহ ও তুষারঝড়ে উত্তর আমেরিকার দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এতে অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে নিউইয়র্কের বাফেলো শহরের অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। সোমবার বাফেলো ও এরি কাউন্টির বাকি অংশে শৈত্যপ্রবাহ ও তুষারঝড়ে ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, আগের রাতে এ সংখ্যা ছিল ১৩। নিউইয়র্কের গভর্নর এ পরিস্থিতিকে একটি যুদ্ধ অঞ্চল হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। খবর বিবিসির।
দেশ দুটিতে তুষারঝড়ে লাখো মানুষ বরফের স্তুপে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে নেমেছে। তুষারপাতে হাজার হাজার বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঢেকে গেছে। লাখো বাসিন্দা ঘরের ভিতরে আটকে পড়েছে। এতে কয়েকশ’ মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় আরো প্রাণ হারাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের একজন মুখপাত্র ঘোষণা করেছেন, পশ্চিম নিউইয়র্কে ঝড়-সম্পর্কিত ২৭টি মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর ২০টি নিউইয়র্কের বাফেলোতে ঘটেছে। একটি মারাত্মক শীতকালীন তীব্র তুষারঝড় যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ অংশকে ঢেকে দিয়েছে তা সপ্তাহব্যাপী অব্যাহত থাকবে। কিছু অঞ্চলে ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
বৈরি আবহাওয়া কানাডার কাছে গ্রেট লেক থেকে মেক্সিকো সীমান্ত বরাবর রিও গ্রান্ডে পর্যন্ত প্রসারিত। মার্কিন জনসংখ্যার প্রায় ৬০ ভাগই শীতকালীন ঝড়ের সতর্কতার মুখে রয়েছে। রকি পর্বতমালার পূর্ব থেকে অ্যাপালাচিয়ান পর্যন্ত তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক নিচে নেমে গেছে।