মানসিক সমস্যার কারণে দেশের উৎপাদন কমে যায়, অপরাধের মাত্রা বাড়ে। এমনকি  মানসিক স্বাস্থ্যের কারণে উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ বাড়ে। অথচ কোনো না কোনোভাবে দেশের মোট জনগোষ্ঠির ১৮ শতাংশ  (প্রায় ৩ কোটি) মানুষ এ সমস্যায় ভুগছেন।  অন্যান্য অনেক রোগেও এমনটা হয় না। এ সমস্যায় আক্রান্তদের বড় একটি অংশ শিশু। আক্রান্তদের উন্নত চিকিৎসা জরুরি। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) এমনটাই জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

রাজধানী ঢাকার এক হোটেলে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য রিপোর্ট ও জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য কর্মকৌশল পরিকল্পনা ২০২০-৩০ এর অবহিতকরণ সভায় এ প্রসঙ্গে কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।  স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মানসিক সমস্যায় বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে বর্তমান সরকার নানামুখী ব্যবস্থা নিয়েছে। পাবনা মানসিক হাসপাতালকে আরও উন্নত করার পাশাপাশি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায়ও কাউন্সিলিং করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রায় ২শ’ উপজেলায় এনসিডি কর্নারে কাউন্সিলিং করার ব্যবস্থা থাকছে। যদিও সচেতনতায় এখনো নানা ঘাটতি রয়েছে। তিনি বলেন, বাজেটে মানসিক স্বাস্থ্যে এখনো ঘাটতি থাকলেও এটি বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। আইনি কাঠামো তৈরি হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নের এখনই সময়।

সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, এ খাতে ৫ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ বরাদ্দের ৬০ ভাগই খরচ হচ্ছে প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য কাজে। তাই মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে চাইলে বরাদ্দ বাড়াতে হবে।   জাতীয় মানসিক ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য শুধু স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজ নয়, স্কুল-কলেজের শিক্ষকদেরও অনেক দায়িত্ব রয়েছে।  মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দরকার। কিন্তু এগুলোতে এখনো ঘাটতি রয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে বাবা-মা ও সবার সচেতনতা দরকারের পাশাপাশি কুসংস্কার থেকেও বেরিয়ে আসতে হবে বলেও জানান তিনি।

এমকে