নির্বাচন পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার মতামত নেওয়ার প্রয়োজন থেকেই সংলাপ হচ্ছে। সংলাপটি হচ্ছে শুধু শোনার জন্য। সংলাপের ফলাফলগুলো লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে। এরপর নিজেরা এ মতামতগুলো বোঝার ও জানার চেষ্টা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার (৬ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের এমনটাই জানালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এদিনে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ করে ইসি।
সিইসি জানান, নির্বাচনে যে সমস্যাগুলো আছে, সেগুলো সংলাপে আলোচনা হয়েছে। সংলাপে কোন কোন বিষয়গুলোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে, সেগুলা চিহ্নিত করা হবে। চিহ্নিত এ বিষয়গুলো পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করে কাজে এগিয়ে যেতে পারবে তারা। এ চেষ্টাই করে যাচ্ছে তারা। সংলাপের পর নিজেদের মধ্যে অনেক আলাপ-আলোচনার প্রয়োজন আছে ইসির।
সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে সিইসি বলেন, এখনো কিছু বলার পরিস্থিতি হয়নি। এ বিষয়ে প্রয়াসের কোনো ত্রুটি থাকবে না, অংশগ্রহণমূলক ও সুন্দর নির্বাচনের জন্য সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করবে ইসি।
এদিকে সংলাপে জাতীয় নির্বাচন সারা দেশে একদিনে ভোট না নিয়ে ধাপে ধাপে ভোট নেওয়ার প্রস্তাব করেছেন বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদকসহ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা। এতে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব জনবলের মাধ্যমে বিভাগ কিংবা জেলাভিত্তিক এ নির্বাচন করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন তারা।
সংলাপ সভাপতিত্ব করেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল, সম্পাদক ও সাংবাদিকদের মধ্যে অংশ নেন— নিউএজ সম্পাদক নূরুল কবীর, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, প্রথম আলোর আনিসুল হক, সোহরাব হাসান, বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক শাহজাহান সরদার, ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ডেইলি অবজারভার অনলাইন ইনচার্জ কাজী আব্দুল হান্নান, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাহবুব কামাল, ভোরের ডাকের সম্পাদক কে এম বেলায়েত হোসেন, যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, প্রতিদিনের সংবাদ-এর সম্পাদক শেখ নজরুল ইসলাম, আজকের পত্রিকার সম্পাদক মো. গোলাম রহমান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, নয়াদিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ডেইলি স্টারের এক্সিকিউটিভ এডিটর সৈয়দ আশফাকুল হক, সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাসগুপ্ত, মানবকণ্ঠের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক দুলাল আহমেদ চৌধুরী, আমার সংবাদের সম্পাদক হাশেম রেজা, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সম্পাদক ইনাম আহমেদ চৌধুরী, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন এবং সিনিয়র সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকার।
এমকে