পৌষের মাঝামাঝিতে এসে হাড় কাপানো কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। গত দু ‘দিন কুয়াশার কারণে সূর্য দেখা না যাওয়ায় দিনের তাপমাত্রা হুট করেই অনেকটা কমে গেছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা পার্থক্য কম থাকায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সেই তীব্রতা বাড়িয়ে তুলছে বয়ে যাওয়া হিমেল হাওয়া। আগামী কয়েক দিন এমন আবহাওয়া থাকতে পারে বলে জানিয়ে সংশ্লিষ্টরা। এদিকে শীতের তীব্রতা ও কুয়াশার দাপটে অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। বিপাকে পড়েছেন দিনমুজররা। ওদিকে দেশের হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। শীত নিবারণে শীতের কাপড় কিনতে গার্মেন্টেস ও ফুটপাতের কাপড়ের দোকানে বাড়ছে মানুষের ভিড়।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ আংশিক মেঘলাসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এ কুয়াশা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত থাকতে পারে। রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে সারা দেশে। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, তাপমাত্রা সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। বুধবার দেশের সর্বনিম্ন ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শীতজনিত রোগীর চাপ বেড়েছে হাসপাতালে। বিশেষ করে শীতের ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি-কাশি, ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। নীলফামারীতে ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে আসনের দ্বিগুণ রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু রোগী বেশি। কুড়িগ্রামে শয্যা-সংকটে ওয়ার্ডের মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। প্রায় একই অবস্থা উত্তরাঞ্চলের বেশিরভাগ হাসপাতালের।
এমকে