নতুন প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ উপহার দেওয়া আমাদের কর্তব্য উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন- দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গিবাদ সম্পূর্ণরূপে নির্মূলের মাধ্যমে শোষণমুক্ত সমাজ-প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাঙালি জাতিকে আরও ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। বৃহস্পতিবার (জানুয়ারি)নতুন বছরে একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে এ আহ্বান জানান। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়। নিয়ম অনুযায়ী বছরের প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপ্রধান।
গত বছর (২০২২ সাল) আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং একটি বছর ছিল উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতীয় জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণ অতিক্রম করছি আমরা। সমগ্র বিশ্বই এ কঠিন সময় পার করছে। ভাষণে বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডও তুলে ধরেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকার করোনার ধাক্কা সামলে অর্থনীতির গতিশীলতা বজায় রাখতে পারলেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দেশের অগ্রযাত্রাকে শ্লথ করেছে। তারপরও গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে বাজেট ১৪ শতাংশ বেড়েছে, দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকায়। গত অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক দুই-পাঁচ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সামগ্রিক বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এ প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক। মাথাপিছু জাতীয় আয় ২ হাজার আটশ চব্বিশ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ দশমিক নয় সাত বিলিয়ন ডলার এবং বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ ৩ দশমিক চার বিলিয়ন ডলারে। সরকার ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে দেশের সব নাগরিকের জন্য পেনশন ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত, আত্মমর্যাদাশীল বঙ্গবন্ধুর সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ার পথে এগিয়ে যাক জাতি। জনস্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দিতে হবে। রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে দেশের মানুষের কল্যাণে নেওয়া বর্তমান সরকারের নানা পদক্ষেপ ও সফলতার বিষয়গুলোও তুলে ধরেন। সংসদে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন মো. আবদুল হামিদ। তার ভাষণের বাকি অংশ পঠিত বলে গণ্য করেন স্পিকার।
এমকে