পুলিশি হেফাজতে তরুণী মৃত্যুর ঘটনায় ইরানে দেশব্যাপী প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ শুরু হয়। এ বিক্ষোভের সময় আন্দোলনকারীদের হাতে সামরিক বাহিনীর এক সদস্যকে হত্যার অভিযোগে দু'জন বিক্ষোভকারীর ফাঁসি কার্যকর করেছে দেশটি।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- মোহাম্মদ মাহদি কারামি ও সেয়েদ মোহাম্মদ হোসেইনি। কারামির বয়স হয়েছিল ২২ বছর। ফাঁসি কার্যকর করার আগে পরিবারের সদস্যদের সাথে তাকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। কারামির পরিবার তার জীবন ভিক্ষা করে আবেদন জানিয়েছিল বলে খবর বিবিসির।
আধা-সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা রুহুল্লা আজামিয়ানকে নগ্ন করে তারপর তাকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ এনেছেন সরকারি আইনজীবীরা। এদিকে এ বিচার প্রক্রিয়াকে “ছল” হিসেবে উল্লেখ করে কিছু মানবাধিকার সংগঠন এর নিন্দা জানিয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিচারের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
এ মামলায় আরো তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাকি ১১ জনকে দেওয়া হয়েছে কারাদণ্ড। খবর বিবিসির।