দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেড়শ’ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য দুই লাখ ইভিএম কিনতে ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প সরকারের কাছে অনুমোদনের জন্য দিয়েছে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠান। যত শিগগির সম্ভব এ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। তবে কবে অনুমোদন হবে, সেটা নির্দিষ্ট করে বলেননি তিনি। মঙ্গলবার বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইস রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্ডের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ প্রসঙ্গে ব্রিফ করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী। রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে এ বৈঠক হয়।
এদিকে চলমান জানুয়ারির মধ্য ভাগের মধ্যে প্রকল্পটি পাস না হলে ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে ইসির কাছে বর্তমানে যে ইভিএম আছে, তাই দিয়েই ভোট করা হবে। বাকিগুলোতে ব্যালটে যেতে হবে। বর্তমানে ইসির হাতে থাকা ইভিএম দিয়ে ৫০টি আসনে ভোটগ্রহণ করা যাবে। সম্প্রতি সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।
প্রকল্পটির অনুমোদ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা নিয়মকানুনের মধ্যেই ইভিএম নিয়ে কথা বলছি। কিন্তু ১৫ জানুয়ারির মধ্যে এ প্রকল্প অনুমোদন দিতেই হবে, এটা কোনো রেড লাইন (লাল রেখা) নয়। তিনি জানান, এটা ১৮, ২০ জানুয়ারিতেও এমনকি আগামীকালও (বুধবার) অনুমোদন হতে পারে।
মন্ত্রী এম এ মান্নান আরও জানান, শুধু একনেক সভায় এগুলো অনুমোদন হয়, ব্যাপারটি তা নয়। আমরা কতগুলো ইভিএম দেব- একনেক সভার আগে পিইসি (প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি) সভায় সেটা আলোচনা হবে। সেই সভায় আমরা ও নির্বাচন কমিশনের লোকজনও উপস্থিত থাকেন। সবাই আলোচনা করেই অনুমোদন দেওয়া হবে। সাংবিধানিকভাবে বলা আছে- ইসিকে সার্বিক সহযোগিতা দিতে হবে। সরকার সেই পথে আছে- যোগ করেন মন্ত্রী।
এমকে