রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে ১১ দফা পরিকল্পনা

১২ জানুয়ারী ২০২৩

দেশে বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকারের রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে ১১টি পরিকল্পনার কথা জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় যেতে পারলে এগুলো বাস্তবায়ন করবে আওয়ামী লীগ। জাতীয় সংসদে চলমান অধিবেশনে বুধবার (১১ জানুয়ারি) প্রশ্নোত্তর পর্বে এ পরিকল্পনার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। আগামীতে সরকার গঠন করতে পারলে প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা কী হবে- এমন প্রশ্নটি করেন জাতীয় পার্টি দলীয় সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী। অধিবেশনে  স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্ব করেন।

বক্তব্যে ১১টি পরিকল্পনার সংক্ষিপ্তসার তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। বলেন, বিস্তারিত পরিকল্পনা আগামী নির্বাচনি ইশতেহারের মাধ্যমে যথাযথ সময়ে প্রকাশ করা হবে। এ ১১ দফার মধ্যে রয়েছে— আওয়ামী লীগের ভিশন হবে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ। স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি হবে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি। এ জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি  পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার দলের নির্বাচনি ইশতেহারে  ২০৪১ সালে ‘উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ ও ২১০০ সালে নিরাপদ ব-দ্বীপ পরিকল্পনার রূপরেখা প্রদান করা হয়। উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের অভিযাত্রায় প্রথম ধাপ হিসেবে ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় আসীন হয়েছে বাংলাদশে।

শেখ হাসিনা বলেন, তারা সরকার গঠন করলে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ।  তখন গড়ে মাথাপিছু আয় হবে ৫ হাজার ৯০৬ ডলারের বেশি। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ যখন একটি উন্নত দেশ হবে, তখন মাথাপিছু আয় হবে ১২ হাজার ৫০০ ডলারের বেশি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৫ সালে ৮ দশমিক ৫১, ২০৩১ সালে ৯ এবং ২০৪১ সাল ৯ দশমিক ৯ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে জিডিপি প্রবৃদ্ধি। তিনি জানান, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে উৎপাদন পরিচালনা ও বৃদ্ধি করা হবে। ক্ষুদ্র, কুটির, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্প গড়ে তোলা হবে। সড়ক, নৌ, রেল ও বিমানপথের সব প্রকল্প শেষ করা হবে। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ নিশ্চিতের মাধ্যমে সৃষ্টি করা হবে ব্যাপক কর্মসংস্থান । কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে গুরুত্ব দিয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন করে রফতানির ক্ষেত্রে নতুন নতুন বাজার সন্ধান এবং মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ডিজিটাল ডিভাইসের নিজস্ব বাজার সম্প্রসারণ করা হবে। মৌলিক চাহিদা অন্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও সবকিছু মিলিয়ে মানুষের চিকিৎসা তৃণমূল পর্যন্ত নিশ্চিত করা হবে। সব মানুষের জীবনমান উন্নত করা হবে। প্রতিটি গ্রামকে শহরে রূপান্তর করে সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, তারা সরকার গঠন করলে ২০৩১ সালের মধ্যে দেশের চরম দারিদ্র্যের অবসান হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে দারিদ্র্য ৩ শতাংশের নিচে নামবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে দ্বিতীয় পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১, স্মার্ট ডেল্টা বিনির্মাণের ‘বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’, নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ২০২৬-২০৩০, দশম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ২০৩১-২০৩৫, একাদশ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ২০৩৬-২০৪০ রয়েছে তাদের।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর