সিলেটের জয়রথ যেন থামছেই না। এবারের বিপিএলে শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলছে মাশরাফি-মুশফিকের এ দল। এ পর্যন্ত একটি ম্যাচেও হারেনি তারা। বিপিএলের ঢাকা পর্ব শেষ হয়ে শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম পর্ব। ঢাকায় একটি ম্যাচেও হারেনি তারা। চট্টগ্রামেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। জয়ের ছন্দ ধরে রেখে সোমবার ঢাকা ডমিনেটর্সকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
বিপিএলের নবম আসরে চট্টগ্রামে দিনের প্রথম ম্যাচে ঢাকা ডমিনেটর্সের মুখোমুখি হয় সিলেট স্ট্রাইকার্স। এ দিন প্রথমে ব্যাট করে ঢাকা। তবে শক্তিশালী সিলেটের বিপক্ষে তারা বড় সংগ্রহ দাঁ করাতে পারেনি। মাত্র ১২৮ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। ঢাকার দেওয়া ছোট লক্ষ্য সহজেই টপকে যায় আত্মবিশ্বাসী সিলেট। ১৯.২ হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে সিলেট। হাতে ছিল আরো ৫ উইকেট। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন ওপেনার মোহাম্মদ হারিস।
দিনের শুরুতে প্রথমে ব্যাটে নামে ঢাকা। শুরুতেই ব্যর্থ হন ওপেনার সৌম্য সরকার। রানের খাতা খোলার আগেই রুবেল হোসেনের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে বিদায় হন তিনি। পরের উইকেটে কিছুটা প্রতেোধ গড়ে দিলশান মুনাবিরা ও উসমান ঘানি জুটি। এ জুটি থেকে আসে ৩২ রান। ১৭ রান করে আউট হন দিলশান আউট হলে ভাঙে জুটি। উসমান খেলেন ২৮ বলে ২৭ রানের মন্থর এক ইনিংস।
শূন্য রানে আউট হন রবিন দাস। আরেক ব্যাটার মোহাম্মদ মিঠুন খেলেন ২৩ বলে ১৫ রানের অতি ধীরগতির ইনিংস। তবে শেষের দিকে নেমে ঢাকার স্কোরকে বড় কতে অবদান রাখেন নাসির হোসেন। ৩১ বলে ৩৯ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ১২৮ রানে থামে ঢাকা।
সিলেটের পক্ষে ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন ইমাদ ওয়াসিম। একটি করে উইকেট পান রুবেল হোসেন, মোহাম্মদ আমির ও নাজমুল ইসলাম।
টানা জয়ে থাকা সিলেটের জন্য ১২৯ রানের লক্ষ্য ছিল খুবই ছোট। আত্মবিশ্বাসী সিলেট জয়ের জন্য খেলতে নেমে শুরুটা ভালোই করে। ওপেনিং জুটি থেকে আসে ৫২ রান। ৩২ বলে ৪৪ রান করে হারিস আউট হলে ভাঙে এ জুটি। ওপেনিং জুটি বিদায় নিলে বাকী কাজ সারেন মুশফিকুর রহিম ও থিসারা পেরেরারা। মুশফিকের ২৫ বলে ২৭ রান ও পেরেরার ১১ বলে ২১ রানের ক্যামিওতে ভর দিয়ে ৫ উইকেটে ১৩৪ রান তুলে জিতে যায় মাশরাফীর সিলেট।
তাসকিন ৪ ওভারে দেন মাত্র ১২ রান, পান ১ উইকেট। আরাফাত সানি ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ১ উইকেট ও নাসির ৪ ওভারে ১৯ রানে ২ উইকেট শিকার করেন।
আরআই