দেশে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার পাশাপাশি শতভাগ বিদ্যুতায়ন, ডেল্টাপ্ল্যান ২১০০ প্রণয়নসহ অন্যান্য সব ক্ষেত্রে সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। তাছাড়া করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনেক দেশের অর্থনীতি হিমশিম খেলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টায় দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক মুদ্রা সংস্থার (আইএমএফ) ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অন্তোনিয়েতে মোনসিও সাইয়েহ’র সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাকালে এ প্রসঙ্গে কথা বলেন স্পিকার।
সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন, সাম্প্রতিক বৈশ্বিক সংকট, বাংলাদেশের উন্নত দেশে উত্তরণে আইএমএফর সহযোগিতা, জলবায়ু পরিবর্তন, বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকিসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেন তারা। এ সময় আইএমএফ’র এডভাইজর টু ডিএমডি আমিনা লেহরিচি, ডেপুটি ডিরেক্টর এনি মেরি গাল্ডি, মিশন চিফ রাহুল আনন্দ, বাংলাদেশ ও ভুটানের আবাসিক প্রতিনিধি জায়েন্দু দে উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনাকালে স্পিকার দেশে দারিদ্র দূর করা ও খাদ্য নিরাপত্তার লক্ষ্যে নেওয়া সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচির বিষয়টিও তুলে ধরেন। বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও জনগণের জীবনমান সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে বর্তমান সরকার।
ওদিকে ডিএমডি অন্তোনিয়েতে মোনসিও সাইয়েহ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী আইএমএফ। ২০৪১ সাল নাগাদ একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও উচ্চ আয়ের দেশে উত্তরণে বাংলাদেশকে দেওয়া নিজেদের সহায়তা অব্যহত রাখবে আইএমএফ। তাছাড়া করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের মতো উদীয়মান অর্থনৈতিক দেশগুলো মুদ্রাস্ফীতি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভসহ নানা ধরনের সঙ্কটের সম্মুখীন হচ্ছে। এসব সঙ্কট মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় পাশে থাকবে আইএমএফ।
এমকে