বর্তমানে চাপ দিয়েও ব্যাংকগুলোকে আনা যাচ্ছে না শেয়ার বাজারে। এ বাজারে বিনিয়োগ নিয়ে তেমন আগ্রহ নেই বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোরও। আর হতাশায় লেনদেন ছেড়ে দিয়েছেন অনেকে। এ কারণে তীব্র ক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কমতে কমতে তলানিতে ঠেকেছে লেনদেন। গত এক সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে হারিয়ে গেছে সাড়ে ৬ হাজার কোটির বেশি টাকার বাজার মূলধন।
এদিকে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য গত মাসের শেষের দিকে কোম্পানি ও ব্যাংকের কাছে চিঠি দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর বাইরে সংস্থাটির তরফ থেকে বিনিয়োগের জন্য ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনের বিষয়েও চিঠি পাঠানো হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য বলছে, গত সপ্তাহজুড়ে প্রায় টানা দরপতনের কবলে পড়ে ডিএসই। এ সপ্তাহের বুধবারের লেনদেন ছিল গত এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এদিন লেনদেন হয় ৪৯০ কোটি টাকা। এর আগে গত ১১ এপ্রিল সর্বনিম্ন লেনদেন হয়, সেটার পরিমাণ ছিল ৪৫৬ কোটি টাকা। আর চলতি বছরের মধ্যে লেনদেন প্রথমবারের মতো ৫০০ কোটি টাকার নিচে নামলো গত বুধবার।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, লেনদেন কমে যাওয়ায় আতঙ্কের পাশাপাশি হতাশা ভর করেছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। হাতে টাকা থাকলেও বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছেন প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা। আর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে শেয়ারের দাম ও লেনদেনে।
গত সপ্তাহের ডিএসইর লেনদেন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মোট পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার কার্যদিবসই পতন হয়েছে। বাজার মূলধনের পাশাপাশি যেমন কমেছে সবকটি মূল্যসূচক, তেমনি কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। সপ্তাহ শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩২ হাজার ৫৩৯ কোটি টাকায়। আগের সপ্তাহে এর পরিমাণ ছিল ৫ লাখ ৩৯ হাজার ৪১৫ কোটি টাকা। পুরো সপ্তাহে লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে মাত্র ৫১টির দাম বেড়েছে, বিপরীতে কমেছে ৩২৪টির আর অপরিবর্তিত থাকে বাকি ১০টির। সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএক্স ১১৬ দশমিক ৬০, ডিএসই-৩০ সূচক ২২ দশমিক ৪১ আর ডিএসই শরিয়াহ্ ১৪ দশমিক ৫১ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে মোট ৩ হাজার ৩৯ কোটি ২৭ লাখ টাকা শেয়ার ও মিউচুয়াল ফাণ্ডের ইউনিট। আগের সপ্তাহে এর পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৬৮৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এ হিসাবে লেনদেন কমেছে ১ হাজার ৫৪৪ কোটি ৭ লাখ টাকা।
এমকে