পরাজয়ের বৃত্তে যেন আটকে আছে ঢাকা। শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বরিশালের কাছে ১৩ রানে হেরেছে ঢাকা। যদিও অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন নাসির হোসেন। ৩৬ বলে ৫৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
শুক্রবার টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাঁচ উইকেটে ১৭৩ রান করে বরিশাল। জবাবে চার উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান তুলতে সক্ষম হয় ঢাকা ডমিনেটর্স।
ঝড়ো ফিফটি হাঁকিয়েও হারের বৃত্ত ভাঙতে পারলেন না নাসির হোসাইন। জয় দিয়ে এবারের বিপিএলে শুরু করার পর এ নিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচ হারল তার ঢাকা। বিপরীতে হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরুর করা সাকিবের বরিশাল জিতল পরপর পাঁচ ম্যাচ।
এদিন ফরচুন বরিশালের ইনিংসের শুরুটা হয় প্রায় আগের ম্যাচের মতোই; বিপর্যয় দিয়ে। এদিন ৮ ওভারে ৬৩ রানে চার উইকেট খুইয়ে বসে তারা। এরপর ঝড় ওঠে সাকিবের ব্যাটে। ১৭ বলে ৩০ রানের দারুণ ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরেন বরিশাল অধিনায়ক।
সাকিবের বিদায়ের পর ইনিংসের হাল ধরেন ইফতিখার। ৩৪ বলে ৫৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন পাকিস্তানি ব্যাটার। অপরাজিত ইনিংসে তিনিই ম্যাচ সেরা।
৩১ বলে ৩৫ রানে অজেয় থাকলেন তার সঙ্গী ও অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এছাড়া সাইফ হাসান ছয় বলে ১০, মেহেদি হাসান মিরাজ ১৪ বলে ১৭ এবং চতুরঙ্গ ডি সিলভা ১০ বলে ১০ রানে আউট হন।
ঢাকার বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল দলটির অধিনায়ক নাসির হোসাইন, ১৬ রানে দুই উইকেট নেন তিনি। একটি করে শিকার সালমান ইরশাদ, আরাফাত সানি ও মুক্তার আলির।
শুধু বল হাতে নয়, এদিন ব্যাট হাতেও যথারীতি আলো ছড়িয়েছেন নাসির। কিন্তু আজও কাজে এলো না তার দুর্দান্ত ফিফটি।
রান তাড়ায় ঢাকা ডমিনেটর্সের শুরুটা ছিল আশা জাগানিয়া। পাঁচ ওভারেই বিনা উইকেটে ৪৬ রান করে তারা। কিন্তু দ্রুতগতিতে রান তুলতে গিয়ে বিদায় নেন ওপেনার উসমান গনি। ১৯ বলে ৩০ রানে আউট হন তিনি। আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার ১৫ বলে করেন ১৬ রান।