চট্টগ্রামকে হারিয়ে খুলনার জয়

২১ জানুয়ারী ২০২৩

রান তাড়ায় নেমে দ্বিতীয় বলেই ওপেনার মুনিম শাহরিয়ারকে হারায় খুলনা টাইগার্স। প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দিয়ে দারুণ এক ফিফটি তুলে নেন মাহমুদুল হাসান জয়। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন তামিম ইকবাল। শেষদিকে ঝড় তুলে দুর্দান্ত ফিনিশ করেন অধিনায়ক ইয়াসির আলী।

 

যার ফলে চার বল হাতে রেখেই আসরে নিজেদের দ্বিতীয় জয় পেয়ে যায় খুলনা। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে তারা হারিয়ে দেয় ৭ উইকেটে। ঘরের মাঠে চার ম্যাচের তিনটিতেই হারল স্বাগতিকরা।

 

 

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে খুলনাকে ১৫৮ রানের লক্ষ্য দেয় চট্টগ্রাম। আর্লি ব্রেক থ্রু পেতে যদিও মাত্র একটি বল অপেক্ষা করতে হয় স্বাগতিকদের। মুনিম শাহরিয়ারকে (০) নিজের বলেই তালুবন্দী করেন অধিনায়ক শুভাগত হোম।

 

কিন্তু এরপর দ্বিতীয় উইকেটে তামিম ইকবালকে নিয়ে ১০৪ রানের লম্বা জুটি গড়েন মাহমুদুল হাসান জয়। আগের ম্যাচের তুলনায় এদিন তামিমের ব্যাটের গতি ছিল কিছুটা ধীরস্থির। ৩৭ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ৪৪ রান করেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তবে ইনিংসটি খেলার পথে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৭ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তামিম। নিহাদুজ্জামানের বলে আফিফ হোসাইনের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।

 

তামিমের বিদায়ের কিছুক্ষণ পর দলীয় ১০৯ রানে ফিরে যান মাহমুদুলও। এবারও শিকারী সেই নিহাদুজ্জামান। ৪৪ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৫৯ রানে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন জয়। তাতে খুলনা কিছুটা সময়ের জন্য হলেও ম্যাচে ফেরে।

 

তবে শেষটা যে নিজের জন্যই জমিয়ে রেখেছিলেন ইয়াসির। ১৭ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন খুলনা অধিনায়ক। অপর প্রান্তে ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন আজম খান। দুজনে মিলে চতুর্থ উইকেটে গড়েন অবিচ্ছিন্ন ৫০ রানের জুটি।

 

এর আগে টস জিতে চট্টগ্রামকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় খুলনা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার ম্যাক্স ও'ডউডকে তুলে নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তবে অপর প্রান্তে ঝড় তোলেন উসমান খান। আফিফ হোসাইনকে সঙ্গে নিয়ে দারুণ শুরু এনে দেন চট্টগ্রামকে। দ্বিতীয় উইকেটে ৭০ রানের জুটি আসে এই দুজনের ব্যাট থেকে।

 

আমাদ বাটের বলে নাসুম আহমেদকে উসমান ক্যাচ দিলে ভাঙে সেই জুটি। ৩১ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে ৪৫ রান করেন উসমান। এরপর দারউইশ রাসুলিকে নিয়ে এগোতে থাকেন আফিফ। কিন্তু খুব বেশি দূর যেতে পারেননি। ৩১ বলে ৩৫ রান করে ওয়াহাব রিয়াজের ফাঁদে পা দেন তরুণ এই বাঁহাতি।

 

বাকি সময়টায় তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে চটগ্রামের ব্যাটিং লাইন-আপ। ওয়াহাব রিয়াজের করা শেষ ওভারে টিম-হ্যাটট্রিক করে খুলনা। শেষদিকে ফরহাদ রেজা ৯ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ২১ রান না করলে দেড়শো পেরোনোও মুশকিল হয়ে যেত চট্টগ্রামের। খুলনার হয়ে ওয়াহাব ৪টি ও সাইফউদ্দিন নেন ২টি উইকেট।

 

আসরের প্রথম তিন ম্যাচে হারলেও টানা দুই জয়ে পাঁচ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে এখন টেবিলের চারে উঠে এসেছে খুলনা। এক ম্যাচ বেশি খেলে সমান পয়েন্ট নিয়ে চট্টগ্রামের অবস্থান ছয়ে।


মন্তব্য
জেলার খবর