দেড়শ’ আসনে ভোট হচ্ছে না ইভিএমে

২৪ জানুয়ারী ২০২৩

দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনের ভোট ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) করতে চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কিন্তু এ জন্য প্রয়োজনীয় ইভিএম কেনা সংক্রান্ত প্রকল্প প্রস্তাব স্থগিত করায় সেটা আর হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে বর্তমানে ইসির কাছে থাকা ইভিএম দিয়ে বড়জোর ৭০ আসনে ভোট করতে পারবে ইসি, আর সেটাই করবে সাংবিধানিক এ সংস্থা।

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনায় এ প্রকল্প স্থগিত করেছে সরকার।সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম। রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ইসি সচিব। এর আগে ইসি জানিয়েছিল, জানুয়ারির মধ্যভাগের মধ্যে ইভিএম ক্রয় সংক্রান্ত প্রকল্প পাস না হলে ১৫০ আসনের ভোট গ্রহণ ইভিএম দিয়ে করা সম্ভব হবে না।

ইসি সচিব বলেন, ইসির নির্বাচনের রোডম্যাপে বলা হয়- নতুন ইভিএম কিনতে পারলে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনের ভোট ইভিএমে হবে। কিনতে না পারলে বিদ্যমান ইভিএমে দিয়ে যত আসনে ভোট করা সম্ভব, সেটা করা হবে। এ সিদ্ধান্ত এখনও বহাল আছে। তিনি জানান, ইসির কাছে এখন দেড় লাখ ইভিএম আছে। এর মধ্যে কিছু  সচল নাও থাকতে পারে। ইসির হাতে থাকা ইভিএম দিয়ে ৫০টা, ৬০টা বা ৭০টা আসনে ভোট হতে পারে। কোয়ালিটি চেক করে বলা যাবে আসলে কতটি আসনে ইভিএম করা যাবে- যোগ করেন ইসি সচিব।

গত বছরের জুলাই মাসে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসির সংলাপ হয়, সংলাপে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ইভিএমে ভোট চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে সংলাপে অংশ না নিলেও বিএনপি ইভিএমকে ‘কারচুপির যন্ত্র’ দাবি করছে। এমতাবস্থায় ২৩ আগস্টে ইসি জানায়, সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। তাদের কাছে যে ইভিএম আছে, এর সঙ্গে আরও ২ লাখ ইভিএম লাগবে ১৫০ আসনে ভোট নিতে। এ ইভিএম কিনতে ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার প্রকল্প প্রস্তাবটি গত ১৯ অক্টোবর পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায় ইসি।

 

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর