রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনে ৩১টি উন্নত যুদ্ধ ট্যাংক পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র। কিয়েভ আশা করছে, নতুন এ সরঞ্জাম যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেবে। খবর বিবিসি

অন্যদিকে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎফও ১৪টি লেপার্ড২ ট্যাংক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর মাধ্যমে দেশটি একটি নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করেছে। এরপরই যুদ্ধ ট্যাংক পাঠানো ঘোষণা দিল যুক্তরাষ্ট্র।

পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট দুই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, জো বাইডেন প্রশাসন অন্তত ৩০টি এম১ আব্রামস ট্যাংক পাঠানোর ঘোষণা দিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে রুশ রাষ্ট্রদূত এ সিদ্ধান্তের বিষয়টিকে আরেকটি নির্লজ্জ উস্কানি বলে মন্তব্য করেছেন। এ ধরনের চালান কিয়েভের বাহিনীকে দখল হারানো এলাকা পুনরুদ্ধারে সাহায্য করবে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন।

ট্যাঙ্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিকে ঘরে-বাইরে অনেক ধরনের চাপ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। তবে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ন্যাটো সরাসরি পক্ষ হওয়ার বিষয়ে সতর্কতা করেছে বার্লিন। পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলো ফলাও করে খবরটি প্রচার করলেও ট্যাঙ্কের ডেলিভারির সম্ভাব্য সময়সীমা এখনো অস্পষ্ট রয়ে গেছে।

ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর ক্রিস কুনস জানান, জার্মান কর্মকর্তারা মার্কিন ট্যাংকের ওপর খুবই জোর দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনে সরঞ্জাম পাঠায়, তবে তারা লেপার্ড ট্যাংক পাঠাবে। এর আগে ব্রিটেন বলেছে, তারা ইউক্রেনে চ্যালেঞ্জার টু ট্যাংক পাঠাবে।

যুদ্ধে জেতার জন্য ইউক্রেনের কাছে পর্যাপ্ত ট্যাঙ্ক নেই। তাদের প্রধান যুদ্ধ ট্যাঙ্কের নাম টি-৭২। এগুলো ৩০ বছরেরও বেশি সময় আগে। এ কারণে ইউক্রেন পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে ৩০০টির মতো আধুনিক ট্যাঙ্ক চেয়েছে।

আসিফ/এমকে